বাংলা খবর ডেস্ক: চীনের হুবাই প্রদেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে আছে গোটা বিশ্ব। ইতোমধ্যে প্রাণঘাতি এই ভাইরাস নিয়ে একের পর এক আজব তত্ত্ব দিয়ে যাচ্ছে ভারতের হিন্দু মহাসভা। কয়েক দিন আগেই হিন্দু মহাসভার সর্বভারতীয় সভাপতি চক্রপাণি বলেছিলেন, গরুর গোবর গায়ে মাখলে ও গোমূত্র খেলেই করোনাভাইরাস সেরে যাবে। যা নিয়ে তীব্র হাস্যরস সৃষ্টি হয়েছিল। এবার তিনি বললেন, ‘করোনাভাইরাস আসলে ভগবানের অবতার। আমিষাশীদের শাস্তি দিতে ও ক্ষুদ্র প্রাণিদের রক্ষার্থেই এই ভাইরাসের পৃথিবীতে আগমন।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাস পৃথিবীতে এসেছে কিছু বার্তা দিতে। যারা পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রাণগুলোকে মেরে খেয়ে ফেলছে, তাদের মৃত্যুর মতো চরম শাস্তি দিতেই করোনাভাইরাস পৃথিবীতে এসেছে। ভগবান নরসিংহ অবতার হয়ে এসেছিলেন রাক্ষসদের ধ্বংস করতে ও শিক্ষা দিতে। চীনাদের এর থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ।’
হিন্দু মহাসভা প্রধানের এ মন্তব্য নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। আমিষাশীরাই যে হিন্দু মহাসভা প্রধানের টার্গেট, সেটাও তার মন্তব্যে স্পষ্ট বলে মত অনেকের।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির উপায়ও বাতলে দিয়ে স্বামী চক্রপাণি বলেন, ‘সেদেশের সরকারের উচিৎ করোনাভাইরাসের একটি মূর্তি নির্মাণ করে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া। চীনের সব আমিষভোজীদের দিয়েও তার কাছে ক্ষমা চাওয়ানো। তাহলেই এই অবতার নিজের জগতে ফিরে যাবে।’
তবে ভারতে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কোনো আশঙ্কা দেখছেন না স্বামী চক্রপাণি। তিনি বলেন, ‘ভারতীয়রা পূজা করেন, গোহত্যা বিরোধী। ফলে নিজের থেকেই ভারতীয়দের শরীরে একটি স্বয়ং প্রতিরোধ শক্তি গড়ে উঠেছে।’