এক এলাকার ক্রেতা অন্য এলাকায় যেতে পারবে না: ডিএমপি

0
199
ছবি: সংগৃহীত

বাংলা খবর ডেস্ক:
নিজ এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিং মলে ঘোষিত সময়ে কেনাকাটা করা যাবে। এক এলাকার ক্রেতা অন্য এলাকায় যেতেও পারবেন না, কেনাকাটাও করতে পারবেন না। শপিং মলে বা দোকানে ঢোকার আগে পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। তবে শপিংমলগুলোতে যাতায়াতের জন্য সীমিত পরিসরে সাধারণ রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালু থাকবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) করোনাকালীন সময়ে শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখার ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার যে ১৪ দফা নির্দেশনা জারি করেছে, তাতে এসব কথা বলা হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী শপিং মল ও দোকান সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার/ফেরিওয়ালা/অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেওয়া যাবে না।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ক্রেতারা তাঁদের নিজ নিজ এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে থাকা শপিংমলে ঘোষিত সময়ে কেনা-কাটা করতে পারবেন। এক এলাকার ক্রেতা অন্য এলাকার শপিংমলে কেনাকাটা বা যেতে পারবেন না।

বসবাসের এলাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হবার জন্য প্রত্যেক ক্রেতা তাঁর নিজ নিজ পরিচয়পত্র (যেমন: ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানির বিলের মূল কপি ইত্যাদি) সঙ্গে রাখবেন এবং ঢোকার মুখে প্রদর্শন করবেন।

প্রত্যেক শপিংমলের প্রবেশমুখে স্বয়ংক্রিয় জীবানুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন করতে হবে এবং তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ ছাড়াও প্রত্যেক দোকানে পৃথকভাবে তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

প্রতিটি শপিং মলে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক না পওে কোন ক্রেতা দোকানে ঢুকতে পারবে না। সব বিক্রেতা ও দোকান কর্মচারীকে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হবে।

প্রত্যেক শপিংমল/বিপণি বিতানের সামনে সতর্কবাণী ‘স্বাস্থ্য বিধি না মানলে, মৃত্যু ঝুঁকি আছে’ সম্বলিত ব্যানার টানাতে হবে।

প্রত্যেক শপিংমলে ঢোকা, বের হওয়া ও কেনাকাটার সময় ক্রেতা-বিক্রেতাকে কমপক্ষে ১ মিটার (প্রায় ৪০ ইঞ্চি) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দোকানে যতজন ক্রেতা অবস্থান করতে পারেন তার বেশি ক্রেতাকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক দোকানের সামনে দূরত্ব মেপে মার্কিং করতে হবে।

শপিংমলে বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের (হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য) গমনাগমন নিরুৎসাহিত করতে হবে।

কেনা-কাটা শেষে বিপণিবিতানে অযথা জটলা বা ভিড় করা যাবে না। যাদের কেনাকাটা শেষ হয়ে যাবে মার্কেট কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে তাদের বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

শপিংমল গুলোতে ঢোকা ও বের হবার আলাদা পথ নির্ধারণ করে দিতে হবে।

যারা মাস্ক না পরে আসবে তারা মার্কেট থেকে কিনে নেবে, না হলে যেন মার্কেটে ঢুকতে না পারেন সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রত্যেক শপিংমলের পার্কিং লটে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ছাড়াও গাড়িচালকরা যেন একত্রিত হয়ে আড্ডা না দেয় এবং নিজ নিজ গাড়িতে অবস্থান করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

শপিংমলগুলোতে যাতায়াতের জন্য সীমিত পরিসরে সাধারণ রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালু থাকবে। তবে সিএনজি-তে দুজনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে নিরুৎসাহিত করেছে পুলিশ। প্রত্যেক যাত্রী এবং চালককে মাস্ক পরতে হবে।

এই নির্দেশনা অনুসরণে ঢাকা মহানগর পুলিশ নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here