রাজ্যটির ক্ষমতাসীন বিজেপি এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ হিসেবে উল্লেখ করছেন। দলটির প্রভাবশালী নেতারা একাধিক সাংবাদিক সম্মেলন করে এটিকে ‘বাংলাদেশি ষড়যন্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
হিন্দুত্ববাদী দলটির একাধিক নেতা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে এসে আসামের হিন্দু মেয়েদের বাংলাদেশে নিয়ে মুসলিম বানাচ্ছে। এরপর তারা মধ্যপ্রাচ্যে বিক্রি করে দেবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
তবে বিরোধী কংগ্রেসসহ অন্যান্য দলের নেতারা বলেছেন, এটা নিয়ে বিজেপির সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতি করছে। গত দুইদিন ধরে আসামের রাজনীতি ও সংবাদ মাধ্যমে প্রধান আলোচ্য বিষয়টি হয়ে উঠেছে মৌসুমি দামের প্রেমের বিষয়টি।
আসামের করিমগঞ্জের রবীন্দ্রসদন কলেজের ছাত্রী মৌসুমি দাস প্রেমিক নোমান বাদশার সঙ্গে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করে। সম্প্রতি তাদের খোঁজ মেলে ঢাকার ডেমরা এলাকায়। এরপর ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে মৌসুমি দাসকে ফেরত নিতে চায় তার পরিবার।
কিন্তু ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের মৌসুমি জানায়, নিজের ইচ্ছায় সে বাংলাদেশে এসেছে। বিয়ে করে স্বামীর সঙ্গে ভাল ও সুখে আছে। সে আর ভারতে ফিরতে চায় না।
ডেমরা থানায় ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে নিজের ইচ্ছার কথা জানানোর পর তাকে স্বামীর কাছে ফেরত দেওয়া হয়। এরপর থেকে মৌসুমী সেখানেই আছেন।