শাহবাগে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থেমে থেমে পুলিশের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলছে। রোববার (০৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় সব শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এতে আহত হন অন্তত ৩০ জন।
রাত ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। আন্দোলনকারী ছাত্ররা লাগাতার স্লোগান দিতে থাকেন। এরই মধ্যে আরও অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। আরও কয়েকটি জলকামানও আনা হয়েছে।
শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নিয়ে লাগাতার টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করছে পুলিশ। ওদিকে শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়া থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে। জাতীয় পতাকা নিয়ে লাগাতার স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
ঢামেকে ভর্তি হওয়া আহতরা হলেন, আওলাদ হোসেন (হাইকোর্টের ব্যারিস্টার) (৫০), ঢাবির ছাত্র আকরাম হোসেন (২৬), আবুবকর সিদ্দিক (২২), রফিকুল ইসলাম (২৪), মাহফুজুর রহমান (২৭), রাফি আলামিন (২৬), রাজু (২৩), সোহেল (২২) ও ওমর ফারুকসহ প্রায় অর্ধশত।
ঢামেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (এসআই)বাচ্চু মিয়া জানান, শাহবাগের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মতো চিকিৎসা নিয়েছে। আহতরা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here