শিল্পী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক পরিচালক জি.এম সৈকত খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা আরো একজন ভালো অভিনেত্রী হারালাম।

জানা যায়, বাতজ্বর ও পিত্তথলিতে পাথরসহ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় কয়েক বছর ধরেই ভুগছিলেন রানী সরকার।

উল্লেখ্য, রানী সরকার বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার সোনাতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম মোসাম্মৎ আমিরুন নেসা খানম। তার বাবার নাম সোলেমান মোল্লা এবং মায়ের নাম আছিয়া খাতুন।

তিনি সাতক্ষীরার সোনাতলা গ্রামের ইউপি স্কুল থেকে প্রাথমিক পাঠক্রম শেষ করেন। এরপর তিনি খুলনা করোনেশন গার্লস স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন। রানী সরকারের অভিনয় জীবন শুরু করেন ১৯৫৮ সালে বঙ্গের বর্গী মঞ্চনাটকের মাধ্যমে। এই বছরই তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় এ জে কারদার পরিচালিত দূর হ্যায় সুখ কা গাঁও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।

এরপর ১৯৬২ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশামুর রহমান পরিচালিত উর্দু চলচ্চিত্র চান্দাতে অভিনয় করেন। সেই ছায়াছবির পর থেকে তার পিতৃপ্রদত্ত নাম মেরীর বদলে নতুন নাম হয় রানী সরকার। ‘চান্দা’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর উর্দু ছায়াছবি ‘তালাশ’ ও বাংলা ছায়াছবি ‘নতুন সুর’ এ কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছায়াছবি দুটিও বেশ জনপ্রিয় হয়।অভিনেত্রী রানী সরকার প্রায় এক হাজার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী রানী সরকার। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ২০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা দেন। সেখান থেকে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা করে পেতেন তিনি।

ওই বছরই বাংলা চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা পুরস্কারেও ভূষিত করে।

আর্থিক অনটনের কথা জানিয়ে এর আগে সাক্ষাৎকারে রানী সরকার বলেছিলেন, ‘ম্যাডাম শেখ হাসিনা যদি আমাকে সাহায্য না করতেন এতদিন কোন সাগরে হারিয়ে যেতাম তার ঠিক নেই।’ চরম আর্থিক দুরবস্থায় কাটাতে হয়েছে তার জীবন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here