দীর্ঘ ১৯ বছর পর আবার এক মঞ্চে মিলিত হয়েছেন দুই ভাই। সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম দুজনে একসঙ্গে এক মঞ্চে মিলিত হয়েছেন।
আজ রোববার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে ‘৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ আয়োজিত এক মিলনমেলা হয়।

মিলন মেলার শুরুতে সূচনা বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, প্রায় ১৯ বছর যাবৎ আমরা দুই ভাই একসঙ্গে পাশাপাশি কোনও জনসভায় বসিনি। সম্ভভত এর আগে একটি জানাজায় একত্রিত হয়েছিলাম আমরা।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জাতীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। আর না হলে এসব সহ্য করা হবে না। এমনকি মুখ বুজেও থাকব না। তিনি আরও বলেন, এসব যোদ্ধাদের হয় তো বা জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে, তা না হলে বলতে হবে যে এসব যোদ্ধারা যা করেছেন তা ভুল করেছেন। মামলা করতে তাদের বিরুদ্ধে এবং তাদেরও জেলে পাঠাতে হবে। আমরা তখন বলতে পারব, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করে জেলে গেলাম, এমনকি শাস্তি পর্যন্ত পেয়েছি।

এমনকি আজকের এই মিলন মেলায় যেনো কেউ উপস্থিত হতে না পারে সেজন্য রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইয়াহিয়ার জন্য আমরা রাস্তা বন্ধ করেছিলাম। তাই বলে কখনো দেশের ভিতরে এমন শত্রুতা দেখিনি।

তিনি আরও বলেন, আজ সরকারের জয়জয়কার। যেদিকে তাকাই সেদিকেই শুধু আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা কার কাছে গিয়ে দাঁড়াবো; তা জানি না। আল্লাহ কার জন্য কখন কি লিখে রাখেন তা আমরা কেউ জানি না। এছাড়াও তিনি বলেন, আজ রাজনীতির জন্য আহবান করা হয়নি এই সভার। এটা মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলা। যারা রাজনীতি করে কেবল ক্ষমতা দেখে। অনেকের মধ্যে কোনও কৃতজ্ঞতাবোধও নেই।

এসময় তিনি নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের সমালোচনা করে বলেন, একজন একদিকে শ্রমিক নেতা এবং অন্যদিকে সরকারের মন্ত্রী। আজ তিনি রাস্তাঘাট বন্ধ করে রেখেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here