আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন প্রতিপক্ষের কাছে কৌশলে মার খেতে চায় না আওয়ামী লীগ। তাই একটু ধৈর্য ধরে আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) ধানমন্ডি আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন প্রার্থীদের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জোটের তালিকা প্রকাশ করতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নাম ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়ায় আনুষ্ঠানিক ভাবে দেয়ার আগে তালিকা না প্রকাশ করার জন্য আহবান জানাচ্ছি মিডিয়া কে।
এখন যাচাই বাছাই করে শরিকদের সাথে সমঝোতার মাধমে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে। মনোনয়ন দেয়া মানে চূড়ান্ত প্রার্থী না, মনোনয়ন দেয়ার পরে মাঠে আবার জরিপ করা হবে। তারপর যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তাকে প্রার্থী চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করা হবে। মনোনয় দেয়ার ক্ষেত্রে ঋণ খেলাপীদের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। মনোনয়নের নামে পিঠা ভাগ করা যাবে না।
তবে একটি প্রতিয়োগিতা মূলক নির্বাচন চায় আওয়ামী লীগ। ২৩১ টি আসনে প্রাথীদের চিঠি দেয়া হয়েছে। কোন কোন আসনে একাধিক প্রার্থীকে দেয়া হয়েছে।
মনোনয়ন পাওয়ার পর অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো এতো বড় দলে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা থাকতেই পারে।
চিঠির বাইরে কোন কিছু হবে না, তবে জোটের কোন প্রাথীর যোগ্যতা বেশি থাকলে সেখানে ছাড় দেয়া হবে।
ব্যাপক পরিবর্তন আসবে এবারের নির্বাচনে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের তিনি বলেন, ৪৫জন নতুন মূখ দেয়াই চমক।
বদিকে নিয়ে বিতর্ক থাকায় তাকে নমিনেশন দেয়নি । তবে কি তিনি অপরাধী? না তিনি অপরাধী না। ৭টি জরিপে বদিএগিয়ে থাকলেও মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
আওয়ামী লীগ থেকে যারা মনোনয়ন পায়নি তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী বা ঐক্যফ্রন্টের সাথে যোগ দিয়েছেন এর জবাবে বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে দু-একজন বেরিয়ে গেলে কিছু যায় আসে না। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আওয়ামী লীগের নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে। বিদ্রোহ মানে বহিষ্কার। চির স্থায়ীভাবে বহিষ্কার।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তন চেয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, হেরে যাবার ভয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। যারা নির্বাচনের আগে ইলেকশনের কমিশনের পরিবর্তন চান তারা নির্বাচনে অংশ নিবে এটা আমার বিশ্বাস হয় না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ,আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল হানিফ ,সাংগঠনিক সম্পাদক নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর প্রমুখ।