নদীকে রক্ষা করাই সরকারের চ্যালেঞ্জ: খালিদ মাহমুদ

0
592

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকারের চ্যালেঞ্জ হলো নদীকে রক্ষা করা।
আজ বুধবার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নদীর পানি ও পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এই কর্মশালার আয়োজন করে।

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের চ্যালেঞ্জ ছিল বিদ্যুতের উন্নয়ন। ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের চ্যালেঞ্জ হলো নদীকে রক্ষা করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীকে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন। সে গুরুত্ব অনুধাবন করে নদীকে রক্ষায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন যেসব পদক্ষেপ নিবে সেগুলো বাস্তবায়নে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করবে।’

কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ, শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম, পি কে এস এফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোখসানা কাদের, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য শারমিন সোনিয়া মুরশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। নদী রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদী উদ্ধারে অনেক বাধা এসেছে। এক্ষেত্রে আমরা কোন ধরনের কমপ্রোমাইজ করিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা নদী উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছি।

খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, দেশে ভাল কাজ করার জন্য এখন এক সুবর্ণ সময়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন দেশ ও নিজস্ব সত্ত্বার পরিচয় দিয়ে গেছেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে এবং তাঁরই নেতৃত্বে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতার কারনে আমরা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ছয় মাসে মানুষের মধ্যে জনসচেতনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীতে উচ্ছেদ অভিযানের সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় মানুষ নদী রক্ষায় এগিয়ে এসেছে। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও নদী রক্ষায় আন্তরিকতার কোন কমতি নেই। ৭৫ পরবর্তি সময়ে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ছিলনা, এখন তা ফিরে এসেছে। উন্নয়নের ফসল সবাই ভোগ করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার ক্ষমতায় আছে বলে এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, নদীকে রক্ষা করতে হবে। নদী রক্ষায় সরকার জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করেছে। বঙ্গবন্ধু পানি দূষণমুক্ত অধ্যাদেশ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তুপ থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে প্রবৃদ্ধির হার ৭ ভাগে নিয়ে গিয়েছিলেন। দেশের উন্নয়নে বাস্তব ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নদীর গতির মতো দেশের গতি পরিবর্তন করা হয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here