ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া রাখা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0
73

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সড়ক ও নৌপথে যাত্রায় কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নিতে পারবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘সব কাউন্টারে ভাড়ার চার্ট ঝুলিয়ে রাখতে হবে। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া রাখা যাবে না। পরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না।’

রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্যসচিব, পুলিশের আইজি, বিজিবি মহাপরিচালক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনার, সড়ক পরিবহন ও নৌপরিবহন মালিক সমিতির নেতারা, বিজিএমইএ- বিকেএমইএ-এফবিসিসিআই’র নেতারা এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও ট্যানারি মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে বন্যার পানিতে কোনও এলাকার রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হলে দ্রুত মেরামত করতে হবে। ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করতে হবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদুল আজহা যাতে মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে। ঈদের জামাতগুলো নির্বিঘ্ন করতে অতিরিক্ত পুলিশ জামাতের আশপাশে মোতায়েন থাকবে। সাদা পোশাকের পুলিশও থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় যারা ঢাকার বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন, তাদের ঢাকার বাসার নিরাপত্তায়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে। ঈদ উপলক্ষে নাশকতার কোনও আশঙ্কা নেই।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও শপিং মার্কেট এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হবে। কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলেই পুলিশ সহযোগিতা করবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘যানজট নিরসনে রাস্তার ওপর পশুর হাট বসবে না। বন্যার কারণে নির্দিষ্ট স্থানে পানি উঠলে পশুর হাট কোথায় হবে তা ইউএনও ও ডিসিরা নির্ধারণ করবেন। পশুর হাটে পুলিশি টহল থাকবে। জাল নোট প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক মেশিন রাখবে হাটগুলোতে। বেশি টাকা নিরাপদে পৌঁছে দিতে মানিস্কট থাকবে। হাটে হাসিলের চার্ট দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে টহল জোরদার করা হবে।’

তিনি বলেন, পশুবাহী ট্রাক বা ট্রলার গন্তব্য ব্যতি রেখে কোথাও থামনো যাবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পুলিশও পশুবাহী ট্রাক থামাবে না। নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পশু জবাই করা চলবে না। হাটও বসবে না।’

পোশাক শ্রমিকদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যানজট নিরসনে ৮ আগস্ট থেকে পোশাক কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া হবে। ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করবেন বলে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র নেতারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। এ বিষয়টি যাতে ঠিকভাবে হয় তা আমরা খেয়াল রাখবো। কোনোভাবেই কোনও অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই চলবে না। ৯ ও ১০ আগস্ট শুক্র-শনিবার ছুটির দিনে শিল্পাঞ্চলগুলোতে যেন ব্যাংক খোলা রাখা হয় সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ জানানো হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here