বাংলা খবর ডেস্ক: নতুন বছর, শুরু হয়েছে ২০২০ সাল। বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির বিপুল সম্ভাবনা দেখছে বহির্বিশ্বও। আর্ন্তজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান- আইএফসি বলছে, এই খাতে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে বিনিয়োগ হবে ১৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার। দ্রুত উন্নতির ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশের সামনে অন্তত ১৫টি খাতকে দেখছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা- ইউএসএআইডি’র গবেষণায় জানা গেছে, এ খাতে বাংলাদেশে ৫১২ মিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। যা আগামী চার বছরে বাড়বে সাত গুন, পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৭০ কোটি ডলারে। বিশাল এই সুযোগ কাজে লাগাতে সোলার পার্ক স্থাপনসহ ২৩টি নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে সরকার।
বাড়ি বা শিল্প-কারখানার ছাদে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল বসিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে মিনি, মাইক্রো ও ন্যানো গ্রিডের আওতায় বিদ্যুত উৎপাদনের রোডম্যাপ।
পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানী থেকে ২০২১ সাল নাগাদ চাহিদার অন্তত ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনাও করেছে সরকার। এক্ষেত্রে সৌর বিদ্যুতকে মূল বিবেচনায় রাখা হলেও উপকূল ও সাগরের বায়ুশক্তিকে ব্যবহারের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তিগত সমস্যা, জায়গার স্বল্পতা ও নীতিমালা বাস্তবায়ন না হওয়ায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছে না সরকার।
তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে বাজারে বেড়েছে মানহীন সোলার প্যানেল। যা এই খাতের সুনাম ও সম্ভাবনাকে নষ্ট করছে। এ ব্যাপারে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার নিশ্চিতের তাগিদ দিলেন এই খাতের উদ্যোক্তারা।
সব সমস্যা কাটিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে আগামিতে কর্মসংস্থানও বাড়বে বলেও মনে করেন গবেষকরা।
পরিবেশ দূষণ কমাতে ও জ্বালানির নতুন উৎস হিসেবে বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য জ্বালানিকেই প্রধান ভরসা হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশে এই খাতকে টেকসই করতে ও এর সম্ভাবনা কাজে লাগাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি বড় আকারে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।