বাংলা খবর ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এমন অবস্থায় নিম্ন-আয়ের মানুষকে যাতে খাদ্যসংকটে পড়তে না হয়, সেজন্য তাদেরকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শুধু সরকারই নয়, খেটে খাওয়া এসব মানুষের জন্য ব্যক্তি উদ্যোগেও ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে আসছেন অনেকে।
রাজধানী ও বড় বড় নগরী ছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হচ্ছে এই ত্রাণ। এরইমধ্যে বগুড়ায় শ্রমজীবী মানুষকে দেয়া হয়েছে সরকারি খাদ্য সহায়তা। প্রাথমিকভাবে জেলার ২৮ হাজার ১০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দিচ্ছে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর। এছাড়া বগুড়া পৌর এলাকার জন্য ১০ টন ও উপজেলা পর্যায়ে পৌর এলাকার জন্য ৫ টন করে খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের আরেক জেলা নওগাঁয় ৩০ হাজার দরিদ্র পরিবারের বাড়িতে নিজ উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন সদর আসনের সংসদ সদস্য। এছাড়া জেলায় সরকারিভাবে ২৯১ মেট্রিক টন চাল ও ১২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পৌঁছেছে।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫ মেট্রিকটন চাল ও দেড় লাখ টাকা। এই সহায়তা দেয়া হবে ৫ শতাধিক দরিদ্র পরিবারকে। শেরপুরের ৫ উপজেলায়ও নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য ১০০ মেট্রিকটন চাল ও ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়।
এছাড়া পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে সরকারের পক্ষ থেকে ১০০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ও ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলাতেও শ্রমজীবীদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ৭ লাখ টাকা। এছাড়া এই জেলায় নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য দেয়া হচ্ছে চাল, ডাল, আলু, তেল ও সাবান।