কর্মীদের অফিসে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করল ফিফোটেক

0
95

বাংলা খবর ডেস্ক: দেশে উদ্ভূত করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের জরুরি সেবা নিশ্চিতে কর্মচারীদের অফিসে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মরত প্রতিষ্ঠান ফিফোটেক।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের দশম তলায় প্রতিষ্ঠানটির অফিস। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে সকল ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি। তারই অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদ হোসেন নিজ হাতে জীবানুমুক্ত করেন প্রতিষ্ঠানকে এবং কর্মরত কর্মচারীদের বিনামূল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করেন। একইসঙ্গে নির্দেশনা দেন বাইরে থেকে কেউ এলে জীবানুনাশক স্প্রে ব্যবহার করে তবেই ভেতরে প্রবেশ করতে।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদ হোসেন জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটির ৩৫০ জন কর্মীর মধ্যে প্রায় তিনশো জন বর্তমানে বাসা থেকে কাজ করছেন। বাকীরা অফিসে থেকে ডিউটি করছেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, অফিসে যারা অবস্থান করছেন তাদের প্রত্যেকের মধ্যে ন্যূনতম তিন ফুট দূরত্ব বিদ্যমান এবং সবাই মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন। গত সাতদিন ধরে অফিস কোয়ারেন্টাইনে থাকা কর্মীদের নির্দেশনা দেয়া রয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা কোন অবস্থাতেই অফিস থেকে বের হতে পারবেন না।

তৌহিদ হোসেন আরো জানান, দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের কিছু জরুরি এবং রপ্তানি সেবা রয়েছে, যা আমাদের প্রদান করতেই হয়। গ্রাহকদের সেবার নিশ্চয়তা দিতে আমরা আমাদের কর্মীদের দুইভাগে ভাগ করেছি। একটি অংশ বাসা থেকে কাজ করবে। তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। বাকি যারা কাজ বাসা থেকে করতে পারবেন না, তারা অফিসে থেকেই দায়িত্ব পালন করবেন।

কর্মীদের জন্য প্রতিষ্ঠানের নেয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, অফিসে যারা রয়েছেন, তারা হোম কোয়ারেন্টাইনের মতোই রয়েছেন। তারা অফিস থেকে বের হচ্ছেন না। সকলের জন্য আলাদা আলাদা বিছানা কেনা হয়েছে। একজন আরেকজনের বিছানায় যাচ্ছেন না। অফিসের পক্ষ থেকে কর্মীদের তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা অফিসেই পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে রান্না করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠান চালু না থাকলে এ খাতে অনেকেরই চাকরি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে ফিফোটেক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমরা এখন যে বিশাল বিপদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, সেখানে আমরা চেষ্টা করছি সীমিত আকারে হলেও কার্যক্রম চালাতে। তা না হলে কিছুদিন পরে অর্থনৈতিকভাবে যে প্রতিকূলতা আসবে, তাতে আমাদের বিপিও সেক্টরের অনেক মানুষের চাকরি হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here