বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন হবে

0
70
ছবি: ফোকাস বাংলা

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে এলেন। আর তখন থেকেই শুরু হলো ষড়যন্ত্র। ওই সময় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভক্তি হলো। জাসদ সৃষ্টি হলো। একটা চেষ্টা ছিল, বঙ্গবন্ধুকে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরানোর। সেই চেষ্টা যখন সফল হলো না তখন তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটালো। বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন কেবল সময়ের ব্যাপার বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে জাতির পিতার ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী এবং ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আজ খুনিদের বিচার হয়েছে। এই ঘটনার যারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল তারাও সমান অপরাধী। আমি সবই জানি। বিচারটা জরুরি ছিল। ধীরে ধীরে সবটাই বের হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা হত্যার নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের বের হয়ে আসাটা কেবল সময়ের ব্যাপার বলে উল্লেখ করে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্র প্রস্তুতকারীরাও সমান দোষী সেটা ভুললে চলবেনা। এই হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে এবং যারা পাশে ছিল, ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে সবাই কিন্তু সমানভাবে দোষী। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করাটা জরুরি ছিল সেটা করেছি এবং কারা জড়িত ছিল একদিন সেটাও বের হবে, সেদিনও খুব বেশি দেরী নয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা তখনকার পত্র-পত্রিকাগুলো পড়লেই অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে কেনা একটা বিধ্বস্ত দেশ গড়তে যেখানে বছরের পর বছর লেগে যায় সেখানে একটি বছরও সময় দেয়া হলোনা, সাথে সাথে সমালোচনা শুরু হলো। ধৈর্য্য না ধরে নানা সমালোচনা, নানা কথা লেখা হলো। কারা এগুলো লিখেছিল, কাদের খুশী করতে এবং এই হত্যাকাণ্ডের জন্য গ্রাউন্ড প্রিপেয়ার কারা করছিল? আত্মস্বীকৃত খুনী ফারুক-রশিদের বিবিসিতে প্রদত্ত ইন্টারভিউ-এর উদ্ধৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে এবং যারা পাশে ছিল ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে সবাই কিন্তু সমানভাবে দোষী।

শেখ হাসিনার মনে করেন, আমি সবসময় বলেছি বাংলাদেশের দুঃখী নিরন্ন জনগণের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা এবং উন্নত জীবনের ব্যবস্থা, যেটা জাতির পিতার আজীবন লালিত স্বপ্ন। সেই ব্যবস্থা যখন করতে পারবো সেদিনই আমি মনেকরি এই হত্যার প্রকৃত প্রতিশোধ নিতে পারবো। অনুষ্ঠানের শুরুতে ’৭৫ এর ১৫ আগস্টে শহিদ জাতির পিতা, বঙ্গমাতা এবং তাঁদের পরিবারের শাহাদতবরণকারি সদস্যদের সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here