সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের দেশে এনে শাস্তি দেয়া সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব: হাছান

0
309
বিএনপি নেতা রিজভী অাহমেদের সংবাদ সম্মেলনের কঠোর সামলোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, সকাল বেলা একবার সংবাদ সম্মেলন আবার বিকাল বেলা সংবাদ সম্মেলন করেন। একটু আগেও নাকি সংবাদ সম্মেলন করেছে। তিনি নাকি বলেছেন তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচারের অপচেষ্টা করছে সরকার। আমি বলতে চাই, তারেক রহমানের তো অনেক আগেই বিচার হয়ে গেছে। আরো বিচার চলছে সেটা সঠিক। তারেক রহমানের দুর্নীতি উৎঘাটন এফবিআই করেছে, সিঙ্গাপুর সরকার করেছে। তিনি সেই মামলায় ১০ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামি। সমস্ত সাজা প্রাপ্ত আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়ে থাকে সরকার সব সময়। আমাদের সাথে যুক্তরাজ্যর বন্দি বিনিময় চুক্তি এখনো চুড়ান্ত পর্যায়ে যায়নি। তাই তাকে আনতে কিছুটা জটিলতা থাকলেও তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখমুখি করা সরবারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই দায়িত্ব পালনের কথাই শুধু বলেছেন।

বুধবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু আদর্শ মূল্যায়ন ও গবেষনা সংসদ আয়োজিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এক অালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, আপনাদের দায়িত্ব কি দুর্নীতির দায়ে সাজা প্রাপ্ত আসামিকে রক্ষা করা? এই জন্যই কি আপনাদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বাতিল করেছেন? এই ৭ ধারা বাতিলের পর বিএনপি এখন সারা দেশের দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।

বিএনপি কোটা সংস্কারের আন্দোলনে বাতাস দিতে চেয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুজিবনগর সরকারের পাঁচশত টাকার বেতন ভোক্ত চাকুরে ছিলেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথম সরকার গঠন করা হয় ১৭ এপ্রিল। আর সেই সরকারের বেতন ভোক্ত চাকুরে ছিল জিয়াউর রহমান। এখন অনেকেই বলেন জিয়াউর রহমান এই করেছেন সেই করেছেন। যারা এসব কথা বলেন, তারা কি জানে জিয়াউর রহমানের ৫০০টাকা বেতন ভোক্ত চাকুরে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর কমান্ডরা এই সরকারের কাছ থেকে বেতন নিতেন।

আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র বলেন, ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে অনেক ধুম্রজাল সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করা হয়। ২৬মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের পত্রিকায় লেখা হয়েছিল, শেখ মুজিব জাতির সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন ঘোষণা করেছে। নিউওয়ার্কস টাইমর্সের সান্ধ্য ভার্সনে লেখা হয়েছিল আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার উদযোগ নেয়া হয়। পরে চট্টগ্রামে ২৬ মার্চ সকালে তৎকালীন অভিভক্ত চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম চট্টগ্রাম বেতার থেকে পাঠ করে শুনান। এর পর করল ডাঙ্গা পাহাড় থেকে জিয়াউর রহমানকে ধরে এনে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করান।প্রথমে ভুল পাঠ করেছিলেন, পরে লিখে দিয়ে আবার শুদ্ধ করে পাঠ করান।

পাকিস্তানিরা ২৫ মার্চ রাতে চট্টগ্রামে মুহুর মুহুর গুলিবর্ষণে অনেক মানুষ মেরেছিল জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ২৬ মার্চ সকাল বেলা নুরুল হক জীবন বাজি রেখে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা মাইকিং করে প্রচার করেছিলেন। আর জিয়াউর রহমান পরের দিন ২৭ মার্চ চার দেয়ালের মধ্যে বসে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। আর নুরুল হক হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে মাইকিং করে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেছিলেন। তাই স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করার জন্য যদি কাউকে বাহাবা দিতে হয় তাহলে নুরুল হক জিয়াউর রহমানের চেয়ে বেশি বাহাবা পাবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিক হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here