জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আজ মঙ্গলবার রায় হয়নি। আগামীকাল বুধবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন,আজ কেন? এটা তো আজ রায়ের জন্য আছে। ওকে, এখনই যা বলার বলুন।
এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখনই বলা সম্ভব না, কাগজপত্র লাগবে তো। একটি দিন সময় দিন। এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, আগামীকাল আমার একজন ব্রাদার (বিচারপতি) থাকতে পারবেন না।
তখন আদালত তাকে দুপুর ১২টায় এ সাবমিশন উপস্থাপন করতে বলেন। দুপুরে তাঁর যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে আদালত রায়ের জন্য কাল দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। রায়ের পর আপিল করে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া, যার ওপর শুনানি নিয়ে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট চারটি দিক বিবেচনায় তাঁকে চার মাসের জামিন দেন।
এই জামিন স্থগিত চেয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে। শুনানি নিয়ে ১৪ মার্চ আপিল বিভাগ ওই জামিন স্থগিত করে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে এই সময়ের মধ্যে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেন। অন্যদিকে, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার
আইনজীবীরা, যা সেদিন চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে। আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। পরে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করে। ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে শুনানির জন্য ৮ মে দিন রাখেন আপিল বিভাগ।
এদিকে মঙ্গলবার আপিল বিভাগের রায় আসবে জেনে সকাল থেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সর্বোচ্চ আদালতে ভিড় করেছেন। তবে অ্যাটর্নি জেনারেলের একটি আবেদনে আদেশ আটকে যাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে ফিরেছেন।