মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটের পর থেকেই হাজার হাজার শরণার্থী সমস্যার ফল ভোগ করছে ইউরোপের দেশগুলো। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। যুগের পর যুগ ধরে প্রতিবেশি মিয়ানমারের সঙ্গে চলমান এ সঙ্কটে বর্তমানে এ দেশে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।

চুক্তি হয়েছে। নেই তার কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি। বিশাল সংখ্যক এ জনগোষ্ঠীকে সময়মতো ফেরত পাঠানো না গেলে, কিভাবে এ জটিলতা সামাল দেবে নিজেদের নানা সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ?

মিয়ানমারকে বাগে আনা যাচ্ছে না। প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত চাপ বাড়ানো। এক্ষেত্রে আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনকে সামনে রেখে বাংলাদেশকে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

শরণার্থী বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, জাতিগত সত্ত্বা, সেই সঙ্গে তাদের নাগরিক অধিকার এই ব্যাপার গুলো নিয়ে এখন পর্যন্ত তারা সুস্পষ্টভাবে কোন পজিটিভ কিছু বলেন নি। তবে, তারা যদি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজিও হয়। দেখা যাবে তারা আবারও বাংলাদেশে ফিরে আসবে, কেননা ওইখানে এখনো নিপীড়নের জায়গাটা রয়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বলেন, এখানে কূটনীতিক প্রচেষ্টা যা চালানো দরকার সেইগুলো আমরা করে যাচ্ছি। আমরা চাই তারা সকলেই ফিরে যাক। বাংলাদেশ সরকার ও দেশের মানুষও এই প্রত্যাশা করেন।

বিদেশিরা বাংলাদেশকে ত্রাণ ও অর্থ সহযোগিতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে আশ্রয় দিতে রাজী হচ্ছে না। এছাড়া দিনে দিনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়বে। সমস্যাটি তুলে ধরে এ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ বাড়িয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে জোর দিতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র: সময় টিভি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here