বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে কয়লা সরিয়ে ফেলার বিষয়ে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটাই এখন আমাদের দেশে দুর্নীতির স্বাভাবিক চিত্র হয়ে গেছে৷ এটা ঠিকমত তদন্ত হলে দেখা যাবে, এরসঙ্গে শুধু কর্মকর্তারাই নয়, অনেক প্রভাবশালী জড়িত। কারণ এটাতো এমন না যে, সোনার টুকরো পকেটে করে নিয়ে গেল। এটা প্রকাশ্যে করা হয়েছে এবং বেশ কিছুদিন ধরে করা হয়েছে। মানে দুর্নীতি এখন প্রকাশ্যেই হয়।’

মঙ্গলবার ডয়চে ভেলের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

যারা দুর্নীতি করছে তাদের বিচার প্রসঙ্গে ড . ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুর্নীতিবাজদের যদি বিচার হয়, তাদের যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া যায়, তাহলে দুর্নীতি কমবে। কিন্তু এখানে দুর্নীতির শাস্তি হয়না। মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকেন। তাই দুর্নীতি কমছেনা। দেখা যাবে এই কয়লা দুর্নীতির ঘটনাও কিছুদিন পর হয়তো ধামাচাপা পড়ে যাবে। আর শাস্তি হলেও নীচের দিকের দু’একজনের হবে। তাহলে দুর্নীতি বন্ধ হবে কীভাবে?’

প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলন করে রাখা ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা গায়েব হয়ে গেছে। বর্তমান বাজার মূল্যে এই কয়লার দাম ২২৭ কোটি টাকার ওপরে। কয়লা গায়েবের ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও একজন মহাব্যবস্থাপককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও একজন মহাব্যবস্থাপক ও উপ- মহাব্যবস্থাপককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কয়লা খনি কোম্পানিটির নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here