গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী— আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) ও দিয়া খানম ওরফে মীম (১৬) নিহত হয়।
এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে শিক্ষার্থীরা। তারা সড়ক অবরোধের পাশাপাশি বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে গাড়ির কাগজ ও চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে, যে আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানায় সাধারণ মানুষও।
দুর্ঘটনার পরদিনই র্যাব সদর দপ্তর থেকে শিক্ষার্থীদের চাপা দেওয়া জাবালে নূর পরিবহনের বাসটির চালক মাসুম বিল্লাহ এবং একই কোম্পানির আরও দুই বাসের চালক ও দুই হেলপারকে গ্রেফতারের কথা জানায়। পাশাপাশি জাবালে নূর পরিবহনের বাস দু’টির নিবন্ধন ও রুট পারমিট বাতিলের কথা জানায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গত ১ আগস্ট শিক্ষার্থীদের চাপা দেওয়া জাবালে নূরের বাসটির মালিক শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতারের কথা জানায় র্যাব। গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে এদের সবাইকেই রিমান্ডে নেয় পুলিশ।