বৃহস্পতিবার জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে ভোটাভুটির মাধ্যমে এ প্যানেল তৈরির প্রস্তাব পাস হয়েছে। ৪৭ সদস্যের এ কমিশনে প্রস্তাবের পক্ষে ৩৫ এবং বিপক্ষে তিন ভোট পড়ে। সাত সদস্য দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ওআইসির আনা ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ভোট দেয় কেবল মিয়ানমারের মিত্র চীন, ফিলিপিন্স ও বুরুন্ডি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে রাখাইনে জাতিগত নিধন অভিযানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যবস্থা থেকে মিয়ানমারকে রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছে চীন।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ভেটো দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলের অফিসের মন্ত্রী কেইয়াও টিন্টের সঙ্গে কথা বলেন চীনের স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই।
তিনি বলেন, রাখাইনের সংকট জটিল ও ঐতিহাসিক একটি ঘটনা। এটি মূলত মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিষয়। কাজেই এটিকে জটিল, সম্প্রসারিত ও আন্তর্জাতীয়করণ সমর্থন দেবে না চীন।
চীনের এ কূটনীতিক আশা করেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি সমাধান বের করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে যোগাযোগের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম পেতে সাহায্য অব্যাহত রাখতে ইচ্ছুক চীন।
ওয়াং ই বলেন, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ক্ষেত্রে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পেরে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুয়েতেরেসও ছিলেন।