বর্তমানে ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে অনেকটা পথ ঘুরতে হয়। এতে ৩২১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে হাইস্পিড ট্রেন চালুর জন্য প্রস্তাবিত রেলপথের দৈর্ঘ্য হবে সর্বোচ্চ ২৩৩ কিলোমিটার।
এতে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা হয়ে সরাসরি চট্টগ্রাম যাবে ট্রেন। আর হাইস্পিড ট্রেনের গতি হবে সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার। এতে মাত্র ৫৪ মিনিটেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে। যদিও বর্তমানে এ রুটে সাধারণ ট্রেনে যাতায়াতে কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা সময় লাগে।

সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন রেলপথ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড রেলপথ নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সে প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

আগামী বছর নির্মাণ শুরু করলে ২০২৫ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে হাইস্পিড ট্রেন চালু করা যাবে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।

এখনও নতুন রেলপথের রুট চূড়ান্ত করা হয়নি।

ভূমির ওপর দিয়ে রেলপথ নির্মাণে জমির বাড়তি ব্যবহার ও রেল চলাচলে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে গতি সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে রেলপথটি উড়ালপথে নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ রুটে ছয়টি করে স্টেশন নির্মাণ করতে হবে। আর দ্বিতীয় রুটের ক্ষেত্রে স্টেশন হবে সাতটি। যদিও এক্ষেত্রে কুমিল্লা থেকে লাকসাম অংশটিতে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। তবে ১০টি সূচকের ভিত্তিতে প্রথম রুটটি তথা ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম করিডোরে হাইস্পিড রেলপথ নির্মাণের জন্য সুপারিশ করে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here