রাজধানীর পুরান ঢাকার আবাসিক ভবন থেকে কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ সরাতে গিয়ে আবারও ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছে গঠিত টাস্কফোর্সের অভিযানিক দল। আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে বকশিবাজারের জয়নাগ রোডে অভিযানের শুরুতেই বিক্ষোভ শুরু করেন প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা।

অভিযানের শুরুতেই বকশিবাজারের জয়নাগ রোডে ১১/১সি নম্বর বাসায় প্লাস্টিক দানার কারখানা ও গুদাম পান অভিযানিক দল। পরে কারখানাসহ পুরো ৭ তলা ভবনের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। একই রোডের আরও একটি বাসার নিচতলায় প্লাস্টিক দানার কারখানা পাওয়ায় সেখানেও বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

দুটি বাসার বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরপরই প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ থেকে তারা অভিযান বিরোধী নানা স্লোগান দেন।

বিক্ষোভ করা প্লাস্টিক ব্যবসায়ী মো. রিয়াদ বলেন, আপনারা পুরান ঢাকায় যেসব দাহ্য পদার্থ রয়েছে সেগুলো সরান, প্লাস্টিকের দানা দাহ্য পদার্থ নয়। যদি গোডাউন সরাতে হয় তাহলে সময় দিন। আর আমাদের জন্য বাড়ির সবাইকে কষ্ট দিচ্ছেন কেন?

দুই মন্ত্রীর রেষারেষিতে ‘ভুল অভিযান’ পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এই ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, আমরাও চাই পুরান ঢাকা থেকে সকল প্রকার দাহ্য পদার্থ সরানো হোক।

দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ খানসহ তিতাস গ্যাস, ঢাকা ওয়াসা, ডিপিডিসি, বিস্ফোরক অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর, ঢাকা জেলা প্রশাসন চকবাজার থানা পুলিশের সদস্যরা অভিযানে উপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে গত রোববার পুরান ঢাকার চকবাজারে আবাসিক ভবন থেকে কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ সরাতে গেলে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন গঠিত টাস্কফোর্সের অভিযানিক দল।

পরে অভিযান ওই সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়।

গত ২০শে ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর হাজি ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় মোট ৭১ জন মারা গেছেন। প্রাথমিক তদন্তে আগুনের কারণ হিসেবে কেমিক্যালকেই দায়ী করা হয়। পরে পুরান ঢাকার আবাসিক ভবনগুলো থেকে কেমিক্যাল সরানোর নির্দেশ দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। মেয়র সাঈদ খোকনের নির্দেশে টাস্কফোর্স গঠন করে গত বৃহস্পতিবার থেকে আবাসিক ভবন থেকে কেমিক্যাল অপসারণ অভিযান হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here