রোকেয়া হলে ব্যালট ছিনতাইকারী সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নূরু। তিনি দরজা ভেঙে ব্যালট ছিনতাই করেছে। এর পরে নূরু আবার আহত হওয়ার ভান করেছে। ব্যালট ছিনতাই করে নূরু শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন চুরি করেছে। ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনার জন্য হয়তো শিক্ষার্থীরা মামলা করে ফেলেছে জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী গোলাম রাব্বানী।

সোমবার ফলাফল ঘোষণার আগে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন তিনি।

গোলাম রাব্বানী বলেন, নূরু কিভাবে ব্যালট ছিনতাই করেছে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাই দেখেছেন। ব্যালট ছিনতাই করে শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন ভঙ্গ করার জন্য এ বিষয় মামলা করেছে শিক্ষার্থী। সকাল থেকেই শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহন চলছিলো। পরাজয় যেনেই ভোট ছিনতাই করে। লজ্জা ঢাকতেই বামপন্থি সংগঠন, ছাত্রদল ও কোটা আন্দোলনকারীদের জোট ভোট বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছে। প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দীসহ সবদল মিলে স্লোগান দিয়েছে সবাই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে একত্রিত হন। তাদের কে হটাতে হবে।

নুরুল ইসলাম নুরুকে মারধর করার অভিযোগ আছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এবিষয়ে জানতে চাইলে রেজাওয়ানুল হক শোভন বলেন, তাকে কেউ মারধর করেনি। তিনি ভান করেছেন। ল্যাব এইডের চিকিৎসকদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে শারীক দুবলতার কারণে নূরু মাথা ঘুরে পড়ে গেছে। কেউ তাকে নখের আঁচড়ও দেয়নি। একটি জোট হয়ে নাটক মঞ্চস্থ করেছে। এটা ডাকসুর অতীত ইতিহাসেও ছিল, ছাত্রলীগ একদিকে এবং বাকি সবাই একদিকে। কিন্তু নূর ব্যালট বাক্স দেখে ভুল তথ্য দেন সাংবাদিকদের কাছে।

তিনি বলেন, তারা যে নতুন করে নির্বাচনের দাবি করছে তা এটা হাস্যকর। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিবেচনা করলে তাদের ব্যাপার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮টি হলের মধ্যে মাত্র দুইটি হলে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য আগের রাতেই ষড়যন্ত্র করছে। ভোটের দিন তারা সফল মঞ্চায়ন হয়েছে। ছাত্র ইউনিয়নের লিটন নন্দী, কোটা আন্দোলনের নুরুল হক নূরু ও ছাত্রদলের অনিক। আমরা ১০ বছর ক্যাম্পাসে আছি। এই ১০ বছরে ক্যাম্পাসে কোনো গুলি চলেনি, কোনো ককটেল বিস্ফোরণ হয়নি। এই ১০ বছরে কোনো ক্লাস সাসপেন্ড হয়নি। ক্যাম্পাসে এখন চমৎকার একটি পরিবেশ রয়েছে। এই পরিবেশ ধরে রাখতে যা যা করা দরকার ছাত্রলীগ করবে।

কুয়েত মৈত্রী ও রোকেয়া হলে থেকে উদ্ধার করা যে ব্যালট পাওয় গেছে তা আসল নয়, ভূয়া । ২৮ বছর পর যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই একটি মহল কাজ করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here