তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

0
67

নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন একটি মানহানির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

তথ্যসূত্র বলছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের হওয়ার পর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ক) অঞ্চল আমলি আদালতে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আকরাম হোসেন বাদল মানহানির মামলা দায়ের করেন।

পরে এ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক কওছর এম আহমেদ।

বাদী তার মামলার বিবরণে উল্লেখ করেন, লন্ডনের একটি অনুষ্ঠানের সংবাদ গত ১৯ আগস্ট ২০১৯ এনটিভিতে ২ ও ৩ নং বিবাদীর সহায়তায় প্রচারিত হয়। এতে দেখা যায়, ১ নং বিবাদী তারেক রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণা তিনি মানেন না। এছাড়া বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটাক্ষ এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে মানহানিকর কথাবার্তা বলেন।

১ নং বিবাদী আরো প্রচার করেন, সে সময়কার সরকার অবৈধ এবং বর্তমান সরকারও অবৈধ।

বিবাদীগণ বঙ্গবন্ধু ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে ৫০০ ও ৫০১ ধারায় অপরাধ করেছেন।

আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা জানান, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিকৃতি ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ায় তারেক রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার পর আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

এদিকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রুহুল আমিন শিকদার জানান, সরকার তারেক রহমানকে ভয় পায়। তাদের মন্ত্রী-এমপিরা দিনে-রাতে, স্বপ্নে দেখে তারেক রহমান বীরের বেশে বাংলাদেশে আসছেন। তাই সুদূর লন্ডনে বসে সত্য ও যুক্তি দিয়ে বক্তব্য রাখলেও সেখানে তারা মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহিতা খোঁজেন। এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। আমি সরকারকে স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, তারেক রহমান এই সব মিথ্যা মামলাকে ভয় পান না। অচিরেই তার চিকিৎসা শেষ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে অংশ নেয়ার জন্য দেশে ফিরে আসবেন তিনি এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা আইনের মাধ্যমে মোকাবেলা করবেন। আমি মনে করি, তারেক রহমানের দেশে আসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here