সাড়ে চার হাজার নতুন ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

0
47

বাংলা খবর ডেস্ক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের স্বল্পতা রয়েছে। তাই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ করা হবে।

রোববার টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলার হলরুমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্যারামেডিকেল ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ চলমান রয়েছে। এ সব নিয়োগ হয়ে গেলে আর সমস্যা থাকবে না। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও দ্রুত জনবল নিয়োগ দেয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাজ শেষের দিকে। এ ছাড়াও এখানে জেলা হাসপাতাল রয়েছে।

টাঙ্গাইলে জেনারেল হাসপাতাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন কমিটির সভাপতি টাঙ্গাইলের স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি, আহসানুল ইমলাম টিটু এমপি, তানভীর হাসান ছোট মনি এমপি, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, কেন্দ্রীয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডাক্তার এমএ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডাক্তার কামরুল হাসান খান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচলক ডা. এনায়েত হোসেন, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক নুরুল আমীন মিঞা, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন প্রমুখ।

এদিকে টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাডেমিক ভবন উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রোববার বেলা ১১টার সময় সভা নির্ধারণের সময় থাকলেও চার ঘণ্টা পরে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

ব্যানারে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষের নাম না থাকায় বিক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকজন ডাক্তার ওই ব্যানার নামিয়ে ফেলেন। এ ঘটনায় সভাস্থলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ফলে সভাস্থলের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে অনুষ্ঠানের অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বেলা ৩টার সময় সভামঞ্চে আসেন। জানা গেছে, টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাডেমিক ভবন উদ্বোধনের ব্যানারে নাম নিয়ে ডাক্তারদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডাক্তার এম এ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডাক্তার কামরুল হাসান খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নাম ব্যানারে ক্রমানুযায়ী না থাকায় চিকিৎসকদের একটি গ্রুপ এ ঘটনার প্রতিবাদ করে।

তারা সভার ব্যানার খুলে ফেলে। ফলে সভাস্থলে ব্যাপক উত্তেজনার দেখা দেয়। মন্ত্রী ১১টায় টাঙ্গাইল এসে সার্কিট হাউজে অবস্থান নেন। এ নিয়ে দফায় দফায় চিকিৎসক প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আলোচনায় বসে।

দুইবার করে ব্যানার পরিবর্তন করা হয়। পরে বিকাল ৩টার দিকে নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে আলোচনার ভিত্তিতে ব্যানারের নামের বিষয়টি সমঝোতা হলে সভা শুরু হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here