জাবিতে নতুন কর্মসূচি আন্দোলনকারীদের

0
607

বাংলা খবর ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের সমন্বয়ক দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন।

তিনি বলেন, ‘আগামী ২৭ নভেম্বর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও ৩ ডিসেম্বর উপাচার্যের দুর্নীতির খতিয়ান জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। গত ৫ নভেম্বরে উপাচার্যের প্রত্যক্ষ মদতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার বিচার, হল ভ্যাকেন্টের সিদ্ধান্ত বাতিল ও উপাচার্যের অপসারণ এই তিনটি দাবিতে এ কর্মসূচি পালিত হবে।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, ‘এই উপাচার্যের দুর্নীতি, মামলাবাজি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থানের বিষয়টি সর্বজনবিদিত। গত ৫ নভেম্বরে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনের দাবানল ও দেশবাসীর ধিক্কারের মুখোমুখি দাঁড়ানোর সৎসাহস না থাকায় নিজের গদি টেকানোর জন্য অপূর্ণাঙ্গ সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে উপাচার্য হল ভ্যাকেন্ট ঘোষণা করেন। ফলে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি নিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়।’

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, হল ভ্যাকেন্ট ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়া করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম সচল রয়েছে, এর মাঝেই ঘটেছে বেশ কয়েকটি নিয়োগের ঘটনা। এছাড়া প্রথম বর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ভর্তির জন্য নবীন এই শিক্ষার্থীরা সাধারণত হলে অবস্থান করেই ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। ফলে হল বন্ধ করে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করলে ভর্তিচ্ছুদের ওপর অশেষ ভোগান্তি নেমে আসবে। যার অধিকার উপাচার্যের নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারেক রেজা, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আওলাদ হোসেন ছাড়াও ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), সাংস্কৃতিক জোটের জাবি শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলার বিষয়ে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘হল খোলার সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটের আওতাধীন। তাই কবে হল খোলা হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। আন্দোলনকারীরা কোনো আইন কানুন না মেনেই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এটা এক ধরনের উস্কানি ও ফাঁদ। প্রশাসন তাদের পাতা ফাঁদে পা দিবে না। তদন্তের জন্যে সরকারের ওপর আস্থা রেখে আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা উচিত।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here