৬০ হাজার রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার

0
501

বাংলা খবর ডেস্ক: কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় আশ্রয় গ্রহণকারী ৬০ হাজার রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার। প্রশিক্ষন ব্যায় ধরা হয়েছে ২৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৬ টাকা। যার তিন কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের। বাকি অর্থ বিশ্বব্যাংকের অনুদান।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) শেরে বাংলা নগরের এনইসি কমিটি কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার পরিবেশ রক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গ্রহণ করা হয়েছে।

বৈঠকে কমিটির সদস্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিম বেগম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে অনুদান চুক্তির শর্তানুযায়ী ‘ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্ধারিত কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সরাসরি ক্রয় চুক্তির ভিত্তিতে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার নিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় হবে ২৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৬ টাকা। এর মধ্যে তিন কোটি টাকা মাত্র বাংলাদেশ সরকারের। বাকি অর্থ বিশ্বব্যাংকের অনুদান।

তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এর আওতায় বিশ্ব খাদ্য সংস্থা কর্তৃক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাস্তবায়িত কার্যক্রম হচ্ছে- যথাযথ সেবা কার্যক্রম নির্বাচনকল্পে ৩২টি কমিউনিটি গ্রুপকে অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ প্রদান। ৬০ হাজার রোহিঙ্গা তরুণ ও তরুণীকে কমিউনিটি সেবা প্রদান সম্পর্কিত বিশ্ব খাদ্য সংস্থা কর্তৃক ব্যবহৃত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান।

৬০ হাজার উপকারভোগী ( প্রতি পরিবার থেকে একজন ) জনগোষ্ঠীকে কমিউনিটি সেবা প্রদান কাজকর্মে অংশগ্রহণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান। কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ লাখ চারা গাছ লাগানো ও সংরক্ষণের কাজে রোহিঙ্গাদের নিয়োগ দেয়া।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভূমিক্ষয় রোধে ৯০ হেক্টর জমিতে দেশি প্রজাতির ঘাস রোপণ ও সংরক্ষণে সহায়তার কাজে ডিআরপি নিয়োগ। ক্যাম্পের পরিবেশ-পরিচ্ছন্নতা রক্ষার্থে ৬ কি.মি. রাস্তা ও ড্রেন উন্নয়ন ও সংরক্ষণে সহায়তার কাজে ডিআরপি নিয়োগ। ভূমিস্থলন, বন্যা এবং ভূক্ষয় জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধের স্বার্থে ৬০ হাজার বর্গ কি.মি. ঢাল সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের সহায়তার কাজে ডিআরপি নিয়োগ। এছাড়া ২ দশমিক ৪ কি.মি. পায়ে চলার পথ ও বাঁশের সাঁকো নির্মাণ, পুনর্বাসন, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। ৪০ হাজার উপকারভোগী জনগণকে কমিউনিটি ওয়ার্কফেয়ার কার্যক্রমে অংশগ্রহণের যথাপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান। এসব কাজ ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা জগোষ্ঠীর মাধ্যমে সম্পাদন করা হবে এবং মজুরি হিসেবে ঘণ্টা- প্রতি ৫০ টাকা হারে প্রদান করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here