ওসমানী বিমানবন্দর সম্প্রসারণের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে

0
41

বাংলা খবর ডেস্ক: অবশেষে ওসমানী বিমানবন্দর সম্প্রসারণের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে। এ জন্য ব্যয় হবে ২ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘বেইজিং আরবান কনস্ট্রাকশন গ্রুপ লিমিটেডকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। সম্প্রসারণ কাজের অর্থের জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার এবং ওসমানী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ঠিকাদার নিয়োগে গত বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং ৮টি দরপত্র জমা পড়ে। কিন্তু দরপত্রের চাহিদা যথাযথ পূরণ করতে না পারায় সবকটি দরপত্রই ‘নন-রেসপন্সিভ’ বলে বিবেচিত হয়। পরবর্তীতে গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হলে ৬টি দরপত্র জমা পড়ে। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির যাচাই-বাছাইয়ে ২টি প্রতিষ্ঠান কারিগরিভাবে মনোনীত হয়। অপর প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে- যৌথভাবে ‘মেসার্স এল অ্যান্ড টি’ এবং ‘ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স’ (এনডিই)। সর্বনিম্ন দরদাতা বিবেচনায় চীনা প্রতিষ্ঠান কাজটি পাচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের তৃতীয় বৃহত্তম এ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বর্তমানে যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বছরে ৬ লাখ। বর্ধিত যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং চাহিদা মেটাতে বিমানবন্দরের অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন। এ অবস্থায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ মোতাবেক ওসমানী বিমানবন্দরে একটি আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন, কার্গো টার্মিনাল ভবন, কন্ট্রোল টাওয়ার, বোর্ডিং ব্রিজ, পার্কিং অ্যাপ্রোন, টেক্সিওয়ে, কারপার্ক ও সংযোগ সড়কসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের নিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট থেকে সরাসরি লন্ডনে ফ্লাইট চালুর মাধ্যমে ওসমানী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত করেন। গত দুই দশকে এ বিমানবন্দরের যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বেড়েছে। ওসমানী বিমানবন্দরকে আধুনিক সুপরিসর বিমান তথা বোয়িং-৭৭৭ ধরনের বিমান চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য রানওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ-সংক্রান্ত অপর একটি প্রকল্প ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি সারসংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বর্ধিত যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং চাহিদা মেটানোর জন্য প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও কার্গো টার্মিনাল ভবনসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ফিজিবিলিটি স্টাডিসহ প্রয়োজনীয় ড্রইং-ডিজাইন প্রণয়নের জন্য কোরিয়াভিত্তিক খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইয়োশিন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন কোরিয়া হিরিম আর্কিটেকচার অ্যান্ড প্ল্যানার্স কোম্পানি লিমিটেড জেভিকে নিয়োগ করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here