নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস থেকে জনসাধারণের সুরক্ষায় রাজধানীর মিরপুরে পরীক্ষামূলকভাবে বসানো হয়েছে ‘জীবাণুনাশক কক্ষ’। এই কক্ষ স্থাপন করেছে ‘আর্তনাদ’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন। এর মাধ্যমে ভাইরাসসহ দেহের যেকোনও জীবাণুকে মেরে ফেলা সম্ভব হবে।
জীবাণুনাশক এই চেম্বারে রয়েছে ২ ঘণ্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ, লেজার সেন্সর, ২টি স্প্রেয়ার এবং এর ট্যাংকের ধারণ ক্ষমতা ২০ লিটার এবং চাহিদা অনুযায়ী এর ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব বলেও জানান তিনি। এই ২০ লিটারের মিশ্রণটি প্রায় ২৫০ ব্যক্তিকে জীবাণুমুক্ত করতে সক্ষম বলে দাবি করছে আর্তনাদ নামের ওই সংগঠনটি ।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ‘আর্তনাদ’ সংগঠনের ভলেন্টিয়ার আব্দুল্লাহ বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুরে আমাদের সংগঠনের নিজস্ব অর্থায়নে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে মিরপুর ৬ নম্বর আদর্শ বিদ্যা নিকেতন সংলগ্ন রাস্তায় একটি জীবাণুনাশক কক্ষ বসানো হয়। এই টানেল পরবর্তীতে মিরপুর ১০ নম্বরে আরও একটি স্থাপন করা হবে।
টানেলটি কীভাবে কাজ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই টানেলটির ভেতর দিয়ে হেঁটে গেলে অটোমেটিক লেজার সেন্সর এক্টিভ হয়ে ব্যক্তির উপর স্প্রে হবে। সমস্ত শরীরে ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হলে সেক্ষেত্রে ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরতে হবে ভিতরে প্রবেশকারীকে। বাজার ফেরত অথবা জরুরি কাজে বাহির থেকে ফেরত, যে কেউ এর মাঝে দিয়ে হেটে গেলে তার শরীরে এবং জামা কাপড়ে লেগে থাকা জীবাণু সহজেই ধ্বংস হবে।
তিনি আরও জানান, বিদেশি প্রযুক্তি অনুসরণ করে বাংলাদেশেরই কিছু তরুণ তৈরি করেছে এই টানেল। প্রাথমিক পর্যায়ে এতে খরচ পড়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে খরচ আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।