বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক

0
89

বাংলা খবর ডেস্ক:
সদ্য প্রয়াত সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। এক-এগারোর সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই নেত্রীর দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ান তিনি। অকুতোভয়ে তাদের জন্য আইনি লড়াই পরিচালনা করেন। ওই সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রায় সব প্রভাবশালী নেতার আইনজীবীও ছিলেন তিনি। আবার তাঁদের অপকর্মের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি। সব সময় উচিত কথা বলতেন। কখনো কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পাননি ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন প্রয়াত স্বনামধন্য আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক। তিনি একাধারে যেমন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে আইনি লড়াই করেছেন, তেমনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ারর পক্ষেও আইনজীবী হিসেবে লড়েছেন। দেশের ইতিহাসে ও আইন পেশায় এমনটি বিরল। বাংলাদেশের আর কোনো কোনো আইনজীবীর ক্ষেত্রেও এমন নজির নেই।

তিনি আইনজীবী হিসেবে লড়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে, পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনারও আইনজীবী ছিলেন, ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীও।

নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন সম্পর্কে জীবিত অবস্থায় ব্যারিস্টার রফিক উল হক জানিয়েছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত করে আনতে পেরেছি। তার কন্যা শেখ হাসিনাকেও ওয়ান-ইলেভেনের সময় জেল থেকে মুক্ত করে এনেছি। আবার রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়াকেও জেল থেকে মুক্ত করতে পেরেছি। এটাই বড় পাওয়া। এখন আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।’

দুঃসময়ে আমাকে কারামুক্ত করতে এগিয়ে আসেন রফিক-উল হক: প্রধানমন্ত্রী

ওদিকে দেশের আইনাঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক বিষয়ে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক নানা পরামর্শ দিতেন।’


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ফাইল ছবি।

তিনি জানান, ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় বন্দি করেন। সেই দুঃসময়ে ব্যারিস্টার রফিকুল হক তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে আইনি লড়াইয়ে এগিয়ে আসেন। শেখ হাসিনা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে সে কথা স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here