বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
করোনায় আক্রান্ত কিংবদন্তি গণসংগীতশিল্পী ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে সময়ে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে মারা যান দেশ বরেণ্য এই গণসংগীতশিল্পী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফকির আলমগীর ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব।
গত ১৪ জুলাই ফকির আলমগীরের করোনাভাইরাস রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসার পর পরই ১৫ জুলাই রাতে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের কভিড ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৮ জুলাই তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। পরে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ফকির আলমগীর লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। টানা ৮ দিন করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে হেরে গেছেন তিনি।
এর আগে ফকির আলমগীরের স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর জানিয়েছিলেন, তার স্বামী (ফকির আলমগীর) করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকাই নিয়েছেন। কিন্তু গত ১৪ জুলাইয়ের কয়েক দিন আগে তার উপসর্গ দেখা দেয়, পরে করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসে। শুরুতে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু গত (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলায় ভাঙা থানার কালামৃধা গ্রামে ফকির আলমগীরের জন্ম। ১৯৭৬ সালে তিনি গড়ে তোলেন লোকপ্রিয় ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী।
উল্লেখ্য, ফকির আলমগীর স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম শিল্পী। তারও আগে থেকে তিনি শ্রমজীবী মানুষের জন্য গণসংগীত করে আসছিলেন। সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদক দিয়ে সম্মানিত করে।
গণসংগীতে ফকির আলমগীরের ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক, দেশবরেণ্য গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিল্পীর মৃত্যুতে শুক্রবার (২৩ জুলাই) এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে বিশেষ করে গণসংগীতকে জনপ্রিয় করে তুলতে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
