সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে রোহিঙ্গা বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এমনটাই জানান পররাষ্ট্র সচিব। ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট: টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে’ শীর্ষক সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এর বাংলাদেশের পরিচালক সুদীপ্ত মূখার্জি। মিয়ানমার ইস্যুতে কানাডা সরকারের নিযুক্ত বিশেষ দূত রবার্ট কেইথ, অ্যাকশন এইডের চেয়ারম্যান মানজুর হাসান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য শহীদুল হক বলেন, উভয় দেশের সীমান্তে অবস্থানরত পাঁচ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ইস্যু নয়।এটির সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায় সম্পৃক্ত। এটির টেকসই সমাধান না হলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে এর সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারের নিরাপত্তা জোন করে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমরা চেষ্টা করছি একটি মেকানিজম তৈরি করার। যাতে করে তারা রাখাইনে ফিরতে পারে। আসন্ন বর্ষা মৌসুম নিয়ে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় সরিয়ে নেওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় একেক সময় একেক ধরণের কথা বলছে। তাদেরকে সরিয়ে নিতে সরকারের কাছে অনেক অপশন আছে এবং ভাসানচর তার একটি। যখন জায়গাটি তৈরি হবে তখন আমরা হেলিকপ্টারে করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সেখানকার অবস্থা দেখানোর জন্য নিয়ে যাবো।