খালেদা জিয়ার ঘাড়ে ও হাত-পায়ে ব্যথা বেড়েছে

0
83
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ঘাড়ে, পিঠে ও হাত-পায়ে ব্যথা বেড়েছে। ঠিকমতো হাঁটতে পারছেন না। তার চিকিৎসার প্রয়োজন। সুযোগ থাকলে তিনি যেখানে নিয়মিত চিকিৎসা নেন সেখানে চিকিৎসা নিলে ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার চিকিৎসককে নিয়ে গঠিত মেডিকেল টিম। গতকাল বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার একেএম নাসির উদ্দিনের কাছে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছেন তারা। মেডিকেল টিমের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শামসুজ্জামান  জানান, এই সমস্যাগুলো তাঁর আগেও ছিলো।

এখন তা বেড়েছে। যে কারণে তিনি ঠিকমতো হাঁটতে পারছেন না। তাকে আমরা কিছু ওষুধ দিয়েছি। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ব্যায়াম দেখিয়ে দেয়া হয়েছে। রক্ত পরীক্ষা ও এক্স-রে করার পরামর্শ রয়েছে। বিশেষ করে এক্স-রে টা জরুরি। খালেদা জিয়ার ঘাড়ে ও কোমরের ব্যথার কারণে ওই এক্স-রে করতে বলা হয়েছে। তার অসুস্থতা বেশি হলেও তা আশঙ্কাজনক না। এক প্রশ্নের জবাবে ঢামেক’র অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শামসুজ্জামান বলেন, তিনিতো লন্ডনে চিকিৎসা নেন। সুযোগ থাকলে সেখানে চিকিৎসা নিলে ভালো হতো। যেহেতু তিনি কারাগারে তাই আমরা স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছি। সে অনুয়ায়ী কারা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

তার আগে গতকাল বেলা ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. শাহ আলম তালুকদার। তখন পর্যন্ত কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল টিমের প্রতিবেদন হাতে পাননি ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, রোববার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তাদের কাছে প্রতিবেদন এলে তা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কীভাবে হবে। যদিও খালেদার জিয়ার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য গতকাল ওই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগে সরকারি নির্দেশে শনিবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চার অধ্যাপককে নিয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠন করেন। রোববার গঠিত মেডিকেল টিম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। ওই টিমের সদস্যরা হলেন অর্থোপেডিক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শামসুজ্জামান, নিউরোলজি বিভাগের ডা. মনসুর হাবিব, মেডিসিন বিভাগের ডা. টিটু মিয়া ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের ডা. সোহেলী রহমান।

গত ২৮শে মার্চ অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির না করায় আদালত থেকে কারণ দর্শাতে বলা হয় কারা কর্তৃপক্ষকে। পরে বিএনপি মহাসচিবের সাক্ষাৎ কর্মসূচিও বাতিল করা হয় একই কারণ দেখিয়ে। এরপর বিএনপি’র পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য জামিনে মুক্তি দাবি করা হয়। এ নিয়ে কথা বলেন সরকারি দলের নেতারা। এমন অবস্থায় কারা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বোর্ড গঠন করা হয়।

বোর্ডের চার সদস্যের টিম কারাগারে যাওয়ার আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে খালেদা জিয়াকে দেখতে কারাগারে যান ঢাকার সিভিল সার্জন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here