কোটা ব্যবস্থাটি প্রচলন হয় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনে নিয়ে আসার জন্য: ইমরান

0
676

কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের ইন্ধনদাতা বা উস্কানিদাতা জাতীয় যে শব্দগুলো আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে সে শব্দগুলোর ব্যাপারে আমার আপত্তি রয়েছে। কারণ শব্দগুলো নেতিবাচক শব্দ। মনে হয় আন্দোলনকে আমি গোপনে সমর্থন করছি। আমি তো গোপনে নয়, প্রকাশ্যেই তরুণদের এ ন্যায্য আন্দোলনে সমর্থন দিচ্ছি। সর্বোত্তভাবে আমি তাদের দাবির সঙ্গে একমত। তারা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছে। অবিলম্বে তাদের দাবি মেনে নেওয়া উচিত। তারা যে আগামীতে একটি মেধাভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে ইচ্ছে প্রকাশ করছে, তার সঙ্গে সবারই সংহতি জানানো উচিত। এমন মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।
আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তরুণরা যে আন্দোলনটি করছে তা তো কোটা বাতিল নয়, সংস্কারের দাবি। সরকারি চাকরি ব্যবস্থায় এখন যে কোটা ব্যবস্থা বিদ্যমান তা ৫৬ শতাংশ কোটায় নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, মাত্র ৪৪ ভাগ মেধায়। ৫৬ ভাগ কোটার জন্য যে বরাদ্দ তা একদম গুটিকয়েক মানুষের জন্য, যা দেশের জনসংখ্যার ক্ষুদ্র একটি অংশ মাত্র। কোটার বেশির ভাগ অংশ পূরণ হয় না। সার্বিক বিবেচনায় আমাদের সরকারি নীতিমালায় জাতীয় নীতিটিই এমন হওয়া উচিত যাতে মেধাবীরাই আমাদের রাষ্ট্রপরিচালনা থেকে শুরু করে সরকারের আমলাতন্ত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ পায়। সেখানে যদি আমরা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে না পারি সেখান থেকে ভালো কিছু আশা করাও কঠিন হবে।
তিনি আরও বলেন, কোটা ব্যবস্থাটি প্রচলন হয় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনে নিয়ে আসার জন্য। সেই বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা দরকার যে, সমাজের কোথায়, কারা, কত অংশ পিছিয়ে তাদের জন্য কী পরিমাণ কোটা দরকার বিচার–বিশ্লেষণ করে একটা সংস্কার দরকার।
ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা কেন যুদ্ধ করেছিলেন? একটি অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের জন্যই তারা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। মুক্তিযোদ্ধারাই চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন। মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ ভাগ কোটা যদি যৌক্তিক না হয়, বেশি মনে হয় নিশ্চয়ই সেখানেও সংস্কার হতে পারে। একটা কোটা বা ব্যবস্থা চালু হলে তা যে পরিবর্তন করা যাবে না এমন কোনো কথা নেই বলেও মনে করেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here