এপারে আশ্রিত রোহিঙ্গারা যতদিন সম্মানজনক ভাবে স্বদেশে ফিরছে না, ততদিন সবধরণের সহযোগিতা দেবে সৌদি সরকার।
রাখাইনে রোহিঙ্গারা অমানবিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে উল্লেখ করে সৌদি আরবের কিং সালমান রিলিফ অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান সেন্টারের সুপারভাইজার জেনারেল ড. আব্দুল্লাহ আল রাবিয়াহ বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে সম্মান ও নিরাপদে ফেরাতে হবে। এটি সম্ভব কেবল মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে।
বুধবার দুপুরে কক্সবাজারে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন কালে ড. আব্দুল্লাহ আল রাবিয়াহ এসব কথা বলেন। তিনি দু’দিনের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে কক্সবাজার এসেছেন।
আসন্ন রমজানে রোহিঙ্গারা যাতে নির্বিঘ্নে রোজা পালন পারে সে জন্য সৌদি সরকারের সাবেক এ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারাও মানুষ। মানুষ হিসেবে সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অধিকার তাদেরও রয়েছে। তাই নির্যাতিত মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে সৌদি আরব সরকার। রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে সৌদি সরকার ২০ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল সাহায্য দিয়েছে। স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ সহায়তা অব্যাহত রাখার কথাও তিনি বলেন। বুধবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
এ সময় তাঁরা উখিয়ার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন । আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের সাথে কথা বলেন। বিকেলে মালয়েশিয়ান সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন করে প্রতিনিধিদলটি। সৌদি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কোন প্রতিনিধি দল প্রথম রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
সৌদি প্রতিনিধি দলটি বুধবার কক্সবাজারে অবস্থান করবেন। ড. আব্দুল্লাহ আল রাবিয়াহ’র নেতৃত্বে সফরের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন। দুপুরের দিকে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করার কথা রয়েছে প্রতিনিধি দলের।
এছাড়াও, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিটিতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিরুদ্ধে আনা এক যৌথ প্রস্তাবে অন্যান্যদের সঙ্গে স্পন্সর হয়েছিল সৌদি আরব সরকার।