রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে ফের তাবলিগ-জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকালে এই ঘটনার পর মসজিদের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই পক্ষকে বের করে দিয়ে মসজিদ ফাঁকা করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে কাকরাইলে তাবলীগ জামাতের সাদপন্থী ও হেফাজতপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুই পক্ষকেই পুলিশ মসজিদ থেকে বের করে দেয়।
কাকড়াইলের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এটা কাদের মতাদর্শে চলবে এটা কি সাদের চলবে না কি সাদ বিরোধীদের মতাদর্শে চলবে। সেটা নিয়ে গত ২দিন যাবত আলোচনা হচ্ছিল। আজকে সকালে সূরা বৈঠক হচ্ছিল এই সূরা বৈঠকের সময় সাদ মতাদর্শরা সাদের পক্ষে এবং সাদ বিরোধীদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক এবং হাতাহাতি মধ্য দিয়ে এই উত্তেজনা তৈরি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, কাকড়াইলে মাদরাসা আছে, যাত্রাবাড়িতে মাদ্রাসা আছে, রহমানিয়া মাদ্রসা আছে এরকম অনেকগুলো মাদ্রাসা আছে যেখানে ৯০ শতাংশ মানুষ নিজামউদ্দিন এবং সাদ সাহেবের পক্ষের লোক। এখানে পাকিস্তানি একটি চক্র আছে যারা বাংলাদেশের তাবলিগের কিছু লোককে কাকড়াইলে একত্রিত করেছে। তারাই নতুন করে একটি ফাটল এখানে সৃষ্টি করছে। আসলে এখানে পাকিস্তানীরা যা চায় সেটা এখানে বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে।আমাদের অনুরোধ এখানে পাকিস্তানি দালালরা যেন হাত না লাগায়। আর বিশেষ করে মাদ্রাসার ছেলেদের যেন ব্যবহার না করা হয় তবলিগের ফাটল ধরাতে।
তিনি বলেন, এখানে হাতে গোনা কয়েকজন আছে যাদেরকে আপনারা তদন্ত করলে খুঁজে পাবেন। আপনারা দেখেন ৯০ শতাংশই তাবলিগের লোক শান্তি প্রিয়। আর আমরা আমাদের ঈমান, আমল এবং আখিরাতে বিশ্বাসী তাহলে আমাদের নিয়ে কেন এই হট্টগোল। এটার ব্যপারে যেন সরকার পদক্ষেপ নিই এবং তবলিগের মূল ধারাটা যেন বাস্তবায়ন থাকে।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসন এখনও কিছু কিছু জায়গায় ভুল বুঝতেছে, তবলিগের যে মূল জিনিসটা সেটা তারা বুঝতে পারছে না। তাদেরকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। তো আমরা চাচ্ছি আপনার মিডিয়ার যারা আছেন তাদের মাধ্যমে যারা দেশে ক্ষমতায় আছেন এবং যারা দেশকে পরিচালনা করে তারা যেন বিষয়টির সমাধানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, গতকাল যারা পাকিস্তানপন্থী ছিল তারা হঠাৎ করে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১০০ বছর ধরে যে ধারা চলতেছে সেটাকে আমরা বয়কট করলাম এবং আমরা পকিস্তানের মতো করে এই তবলীগের কাজগুলো চলবে এবং যে ৯০ শতাংশ লোক নিজামউদ্দীনের মূল ধারার সাথে আছে তারা ব্যাথিত হলো এবং তারা জানতে চাইলো নিজামউদ্দীনকে বয়কট করা হলো। এইজন্য তারা এই কাকড়াইলের মসজিদের সামনে উপস্থিত হলে মাদ্রাসা ছেলেদের দিয়ে এই তবলীগআলাদের উপর আঘাত করলো এবং অবশেষে পুলিশদেরকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে আসলো এবং পুলিশরা তাদের বের করে দিলো। আর কাকড়াইলের যে মারকাজ এবং যে ১১ জন সূরা। এই ১১ জন সূরার ৬ জনই নিজামউদ্দীন এবং ১’শ বছরের যে মূল ধারা তার সাথে যুক্ত আছে। বাকি কয়েকজন এই বিশৃঙ্খলা করছে। পুলিশ যারা তবলীগ করতে আসছে তাদেরকে বের করে দিলে এবং যারা এই হট্টোগোল করলো তারা সেখানে আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here