কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেছেন ১০২ জন ইয়াবা কারবারি।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গত চারদিন আগে থেকে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করে জোর প্রচারণা চালানো হয়েছিল। এ ছাড়া টেকনাফের সাধারণ মানুষও ঐতিহাসিক আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানটির সাক্ষী হতে অধীর আগ্রহে ছিলেন। তাই অনুষ্ঠানের দিন ভোর থেকে টেকনাফের বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ থেকে লোকজন অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ওই দিন আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারিদের পরিবারের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে দাদির কোলে করে সবার মতো সকাল সকাল উপস্থিত হয়েছিলেন আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারি টেকনাফ নাইট্যং পাড়ার হাবিবুর রহমান ওরফে নুর হাবিবের অবুঝ শিশু কন্যা নুর হাবিবা। দাদির (হাবিবের মা) কোলে করে তিনি বাবাকে এক নজর দেখার চেষ্টা করছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে যখন আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারিদের পুলিশের হেফাজতে পুনরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন মঞ্চের কাছে গিয়ে নুর হাবিবের মা জিন্নাত বেগম এবং শিশু কন্যা নুর হাবিবা বার বার উঁকি দিয়ে বাবাকে এক নজর দেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু এত লোকের ভিড়ে মা যেমন দেখেননি তার ছেলেকে তেমনি শিশু কন্যা নুর হাবিবাও তার বাবাকে এক নজর দেখার ভাগ্য জুটেনি।
শেষমেশ ছেলেকে একনজর দেখতে না পেয়ে মা যেমন কাঁদছিলেন তেমনি অবুঝ শিশুটিও কাঁদছিল। বাবাকে দেখেছ প্রশ্ন করতেই সে মাথা নেড়ে না বোধক উত্তর জানাল। এই অবোধ শিশু কি জানে তার বাবা কেন যাচ্ছে কারাগারে?