বাংলা খবর ডেস্ক:
২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তাদের প্রথম দেখা হয়। নিজের অভিনীত একটি চলচ্চিত্রের পরিচালকের বাসার একটি অনুষ্ঠানে প্রথম পরিচয়। এর পর সিমলা ও পলাশের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের ৬ মার্চ ঢাকা নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ওই বছরের ৬ নভেম্বর তাদের বিচ্ছেদ হয়।
বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে চিত্রনায়িকা সিমলা বলেছেন, পলাশ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার কারণেই আমি চার মাস আগে তাকে তালাক দিয়েছি।
১০১ টাকা দেনমোহরে ৮ বছরের ছোট মোহম্মদ পলাশ আহমেদকে বিয়ে করেন সামসুন নাহার সিমলা। বিয়ের হলফনামায় পলাশের জন্ম তারিখ উল্লেখ আছে ১৯৯১ সালের ১ জানুয়ারি। আর সিমলার জন্ম তারিখ উল্লেখ আছে ৪ ডিসেম্বর ১৯৮২। সেই হিসেবে সিমলার থেকে পলাশ ৮ বছর ২৮ দিনের ছোট।
বিয়ের কাবিন নামায় পলাশের ঠিকানা দেয়া আছে- মোহম্মদ পলাশ আহমেদ, পিতার নাম মো. পিয়ার জাহান, মাতার নাম-রেনু বেগম, গ্রাম দুধঘাটা, পোস্ট-মঙ্গলের গাঁও, থানা-সোনারগাঁও, জেলা-নারায়ণগঞ্জ।
অন্যদিকে সিমলার ঠিকানা দেয়া আছে- সামসুন নাহার সিমলা, পিতার নাম মৃত মিয়া আব্দুল মাজেদ, মাতা নুরুন নাহার, গ্রাম শৈলকুপা, পোস্ট-শৈলকুপা, থানা শৈলকুপা, জেলা ঝিনাইদহ।
ওদিকে চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারী কমান্ডো অভিযানে নিহত পলাশ আহমেদের লাশ গ্রহণ করেছেন তার বাবা পিয়ার সরদার। সোমবার রাত ১২টার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে পতেঙ্গা থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে পিয়ার সরদার ছেলের লাশ গ্রহণ করেন। এর আগে পতেঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল নারায়নগঞ্জ থেকে পলাশের বাবাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়।
