নুসরাত হত্যাকাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন দেবে পুলিশ: ডিআইজি

0
101

পুলিশের ডিআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড প্লানিং) এসএম রুহুল আমিন বলেছেন, ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় যেটা পাব সম্পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে প্রতিবেদন দাখিল করব।

 

ডিআইজি বলেন, আমরা রাফির বাবা-মা, শিক্ষক ও সহপাঠীদের সঙ্গে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত কথা বলব। যেহেতু এ মামলা নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন কাজ করছে তারা প্রতিনিয়তই মামলার অগ্রগতি নিয়ে কথা বলছেন সেহেতু আমরা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। আমরা মাত্র কাজ শুরু করলাম। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলব।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগেপরে পুলিশের কোনো গাফলতি আছে কিনা বা এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কী করা উচিত- তা তদন্ত ও অনুসন্ধান করে বিষটি খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

 

এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড প্লানিং) এসএম রুহুল আমিন, একই দফতরের অ্যাডিশনাল এসপি সম্রাট মো. আবু সুফিয়ান, নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক মো. সালাহ উদ্দিন আরশেদসহ আরও দুই শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার প্রতিনিধি, সোনগাজী-দাগনভূঞা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম ও সোনাগাজী মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন প্রমুখ।

আলোচিত এই মামলা এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এদের মধে ওই অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ্দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, জান্নাতুল আফরোজ মনি ও শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফ। এদের মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত আটজনের মধ্যে ৭ আসামিকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

এদিকে রোববার রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে মামলার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামিম।

জবানবন্দিতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার নির্দেশে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পিবিআই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামিদের আটক করেছে।

উল্লেখ্য, নুসরাতকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন নুসরাতের মা। এ মামলায় গত ২৭ মার্চ গ্রেফতার হন অধ্যক্ষ সিরাজ। ওই মামলা তুলে নিতে গত ৬ এপ্রিল নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।

নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় মারা যান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দাদির কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here