ঈদুল ফিতরের আর মাত্র ক’দিন বাকি। ঈদ আনন্দ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়ি ফিরছে রাজধানীবাসী। ঢাকার প্রধান প্রধান সড়ক, রেল ও নৌ টার্মিনালে এখন ঘরমুখো মানুষেরই ভিড়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শামীমা শান্তা বলেন, ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। সোহাগ পরিবহনে বাসের টিকিট কেটেছি আরও ১০ দিন আগে। অনলাইনে টিকিট কেটেছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে সাড়ে ১০টার বাসে যশোর যাবো।
রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট মাস্টার মো. আবুল কাশেম বলেন, গতকাল (শুক্রবার) যাত্রীদের চাপ ছিল। সকালে যাত্রীদের চাপ কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের ভিড় বাড়বে। সবচেয়ে বেশি এবার চাপ থাকবে ৩ জুন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কনক সেন গুপ্ত বলেন, সকাল ৯টায় এসেছি এখনে। এসেই টিকিট পেয়েছি। কেটেছি সেবা গ্রিন লাইনের গোপালগঞ্জে যাওয়ার সাড়ে ১০টার টিকিট। বেড়াতে যাচ্ছি। আমার কাছে মনে হয়নি বাড়তি ভাড়া নিয়েছে।
শুভ বসুন্ধরা পরিবহনের টিকিট মাস্টার মো. রাসেল মিয়া বলেন, আগের মত নেই। যত দিন যাচ্ছে ততই ভিড় কমছে। কারণ এখন টিকিটতো অনেক জায়গা থেকেই কাটা যায়। বিভিন্ন জায়গায় আছে প্রত্যেকটি বাস কোম্পানির টিকিট কাউন্টার। তাছাড়া অনলাইনে কেনা যায় টিকিট। এজন্য প্রতিনিয়ত গাবতলী টার্মিনালে ভিড় কমছে। আগামী ৩ জুন গার্মেন্টস ছুটি হবে। তখন বাড়িমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়বে।
সাকুরা পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেডের সিনিয়র মাস্টার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আজকের রানিং টিকিট বিক্রি অনেক কম। ৩-৪ তারিখের টিকিট বাদে, অন্য দিনের টিকেট কম-বেশি আছে। অন্যদের তুলনায় আমরা কম মূল্যে টিকিট বিক্রি করে থাকি। এখন (ঈদের সময়) সরকারের নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী টিকিট বিক্রি করছি ।