শিডিউল বিপর্যয়ে প্লাটফর্মে বাড়ছে ট্রেন যাত্রীর অপেক্ষা

0
66

নগরের কর্মজীবনের ব্যস্ততা ফেলে স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে আপন নীড়ে ফিরতে শুরু করেছে মানুষেরা। কিন্তু তাদের এই বাড়ি ফেরাতেও যেন ভোগান্তির শেষ নেই। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ক্রমেই বাড়ছে যাত্রীদের অপেক্ষা। ঈদের সময় ট্রেনযাত্র বেশি নিরাপদ ভেবে বেশিরভাগ মানুষ ট্রেনে করেই বাসায় ফিরতে চায়। কিন্তু ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে অপেক্ষায় আছে হাজার হাজার যাত্রী।

রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনের প্যাটফর্মে এখন শুধুই ডিজিটাল ডিসপ্লেতে চোখ পেতে অধীর অপেক্ষায় যাত্রীরা। কিন্তু কখন এ অপেক্ষার অবসান হবে, তা জানে না কেউ।

ডিজিটাল ডিসপ্লেতে দেখা যাচ্ছে, চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছার কথা থাকলেও সেটি এখনও ঢাকায়ই এসে পৌঁছাতে পারেনি। সকাল সাড়ে ১০টার পর কমলাপুর গিয়ে পৌঁছাবে বলে ডিসপ্লেতে প্রদর্শন করা হচ্ছে। এরপর এই ট্রেন পরিষ্কার, তেল লোড ও অন্যান্য সব প্রক্রিয়া শেষ করে কখন কমলাপুর ছাড়বে সেটা বলা এখনও মুশকিল।

একইভাবে রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছার কথা, কিন্তু সেটি বর্তমানে ঢাকায় আছে বলে ডিসপ্লেতে দেখা যাচ্ছে। তবে তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস সকাল ১০টা ১২ মিনিটে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছে নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট পর ১০টা ১৭ মিনিটে স্টেশনটি ছেড়ে যায়।

পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছার কথা থাকলেও ডিসপ্লেতে দেখানো হচ্ছে, সেটি ঢাকায় আছে, তবে কখন কমলাপুর ছাড়বে, সেটার হদিস নেই। বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন কেনোটাই সময়মতো ছেড়ে যেতে পারছে না বলে জানা গেছে।

এছাড়া রংপুর এক্সপ্রেসের ঢ এবং এক্সট্রা-২ সহ তিনটি বগির টিকিট বিক্রি করা হলেও সেসব বগি নেই বলে স্টেশনের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের বলা হচ্ছে, টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নেওয়ার জন্য। এ জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

রংপুর এক্সপ্রেসের এক্সট্রা-২ এর টিকিট কেটেছিলেন সুরাইয়া ইসলাম। কিন্তু বিধি বাম, সেই বগিই নেই। এখন কীভাবে তিনি বাড়ি পৌঁছাবেন, সেটি নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, টিকিট ফেরত দিতে বলছে, কিন্তু এখন কেমনে যাবো বুঝতে পারছি না।

শুধু সুরাইয়া নন, এই তিন বগির এমন অনেক যাত্রী ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কাওসাইন হক নীলসাগর এক্সপ্রেসের যাত্রী। কিন্তু সেই ট্রেন কখন এসে পৌঁছাবে, সেটা তিনি নিজেও জানেন না। স্টেশনের ডিসপ্লেতে বারবার চোখ রাখছেন আর অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, অপেক্ষা শেষ হচ্ছে না। তবে দেরি হলেও নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারলেই ভালো বলে জানিয়েছেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here