নুসরাতের শ্লীলতাহানির মামলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে

0
59

মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইন মামলার সকল নথিপত্র নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদের আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার আগে যৌন হয়রানির মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার চার্জশিটের ওপর আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফেনী পিবিআইয়ের পরিদর্শক শাহ আলম জানান, গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অধ্যক্ষ সিরাজকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ সদর দফতর থেকে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। পিবিআই ৯৬ দিনের মাথায় বুধবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২৭১ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে ডাক্তার ও পুলিশসহ মোট ২৯ সাক্ষী রয়েছে।

পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল জানান, অধ্যক্ষ সিরাজ নুসরাতকে যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন। হত্যা মামলায় তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে ২৭ মার্চ যৌন হয়রানির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। যার কারণে এই মামলায় নতুন করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার প্রয়োজন হয়নি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসার সাইক্লোন শেল্টারের তিন তলার ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here