বাংলা খবর ডেস্ক: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, সাক্ষরজ্ঞানের সঙ্গে কাজের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রশিক্ষণ নিয়ে যাতে তারা কর্মসংস্থানে যোগদানের সুযোগ পান। নতুবা নিরক্ষর মানুষদের সাক্ষরতার আওতায় আনলেও তেমন সুফল আসবে না।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে এক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বহু ভাষার সাক্ষরতা, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা’ এ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন উপানুষ্ঠানিক ব্যুরোর কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন। এছাড়া আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন, ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ব্রেটিক খলিদুন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরক্ষর মানুষদের সাক্ষরজ্ঞান প্রদান কার্যক্রমে জেলা পর্যায়ে অনেক ত্রুটি রয়েছে। অনেকে এ কার্যক্রমের নামে সরকারি অর্থ অপচয় করছে। নিজেদের মানসিকতা পরিবর্তন করে এটি বন্ধ করে সঠিকভাবে মানুষকে সাক্ষরতার আওতায় আনতে হবে।
জাকির হোসেন বলেন, বয়স্ক মানুষ ও ঝড়েপড়া শিশুদের শুধু অক্ষরজ্ঞান দিলে তা স্থায়ী হবে না। এর সঙ্গে হাতেকলমে শেখার জন্য বিভিন্ন কাজে প্রশিক্ষণ দেয়া হলে তার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গুণগত শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। আগে যেখানে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে বাংলা-ইংরেজি পড়তে পারত না, এখন প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন একটি করে বাংলা-ইংরেজি শব্দ শেখানো হচ্ছে।
সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় মাতৃভাষাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। নিজের ভাষায় মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে ভিন্ন ভাষায়ও তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষার মানের দিকে মাইফলক উন্নয়ন ঘটেছে।
বর্তমানে শাস্তি নয়, মটিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুর্বল শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করা হচ্ছে। দুর্বলদের সমস্যা শনাক্ত করে শিক্ষকরা তা সমাধান করছেন।
গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচকরা বহুশিক্ষা, সাক্ষরজ্ঞানের সঙ্গে কাজের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বাড়াতে আহ্বান জানান।
উপানুষ্ঠানিক ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার রায়ের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, এনপিও কর্মকর্তা, সমাজসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।