মেজর হাফিজকে রিমান্ডে চায় পুলিশ

0
401

বাংলা খবর ডেস্ক: ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ।

রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে পল্লবী থানায় দায়ের করা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মামলায় হাফিজকে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার  আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) নূরে আলম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিকেল ৩টায় শুনানি হবে বলে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মুন্সি মোহাম্মদ শাহাজাহান এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন।

এর আগে গতকাল শনিবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হাফিজকে আটক করা হয়। এ সময় কর্নেল (অব.) মো. ইসহাক মিয়ান নামের আরেক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) এস এম শামীম বলেন, ‘পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এ মামলার আসামি হচ্ছেন কর্নেল (অব.) ইসহাক মিয়ান ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। র‍্যাব-৪ তাঁদের আটক করে আমাদের থানায় হস্তান্তর করেছে।’

কর্নেল (অব.) ইসহাক মিয়ানকে শনিবার রাতেই আদালতে পাঠানো হয়েছিল।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে র‍্যাব-৪ তাঁকে আমাদের থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৭, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে। তিনি এখন আমাদের হেফাজতেই আছেন।’

বিএনপি নেতাকে কোথায় থেকে আটক করা হয়েছে—এমন প্রশ্নে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁকে সম্ভবত বিমানবন্দর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। কখন আটক করা হয়েছে, আমি জানি না।’

বিমানবন্দর এলাকা র‍্যাব-১-এর আওতাধীন, তাহলে র‍্যাব-৪ কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘তা আমি জানি না। হয়তো অন্য কোনো সংস্থা তাঁকে আটক করেছে। তারপর র‍্যাবের কাছে দিয়েছেন। এসবের কিছু আমি জানি না। র‍্যাব-৪ আমাদের কাছে দিয়েছে, এটা জানি।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here