বাংলা খবর ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর এবং তার সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আরও এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক ও নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রইচ উদ্দিন।
তিনি বলেন, নুরের ওপর হামলার ঘটনায় আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তির নাম মেহেদী হাসান শান্ত। তিনি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের দফতর সম্পাদক।
এরআগে, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এবং ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্যকে আটক করা হয়। এ নিয়ে দুই দিনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন নেতাকে আটক করা হলো।
দুপুরে তাদের আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানান উপপরিদর্শক রইচ উদ্দিন। এদিকে হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে পুলিশ। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক ও নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রইচ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গণ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আটজনের নামসহ ৩০/৩৫ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা মামলা করতে না আসায় আমরা মামলা দায়ের করেছি।’
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাবি শাখার সভাপতি এএসএম সনেট, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, এএফ রহমান হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ (হল থেকে অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার), জিয়া হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম মাহিম, মাহবুব হাসান নিলয়।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাবির ডাকসু ভবনে নুরুল হক নুর এবং তার সহযোগীদের ওপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ব্যানারে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠে। হামলায় নুর এবং তার সংগঠনের অন্তত ২৮ জন নেতাকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে সাত জনকে রাখা হয়েছিল আইসিইউতে এবং একজনকে লাইফসাপোর্টে। তবে বর্তমানে সবাই আশঙ্কামুক্ত।