পিপিই পাননি ঢাকা মেডিকেলের নার্স-চিকিৎসকরা

0
357

বাংলা খবর ডেস্ক: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে হাসপাতালগুলোতে পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট বা পিপিই নিয়ে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ চিকিৎসকদের। রোগীর পরীক্ষা নিশ্চিত করা না গেলে সব স্বাস্থ্যকর্মীকেই পিপিই সরবরাহের দাবি তাদের। আর স্বাস্থ্য বিভাগের যুক্তি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে যার যেটা প্রয়োজন সেটাই দেয়া হচ্ছে।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তালিকা যখন অর্ধশতকের দোর গোড়ায়, তখন খোদ ঢাকা মেডিকেলের মেডিসিন ওয়ার্ডে নার্স ও চিকিৎসকদের সেবা দিতে দেখা যায় কোনো রকম সুরক্ষা উপকরণ ছাড়াই। জরুরি বিভাগের মতো স্পর্শকাতর স্থানেও একইভাবে কাজ করছেন অনেক কর্মী। অনেক চিকিৎসকই প্রশ্ন তুলছেন ভাইরাসটি বহনকারী কেউ এসে সংক্রমিত করে যাচ্ছেন না তো?

পিপিই ব্যবহারে সীমাবদ্ধতার কথাও বলছেন চিকিৎসকেরা।

এমন প্রেক্ষাপটে যে পরিমাণ সুরক্ষা উপকরণ আছে তা দিয়েই মানিয়ে নেয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই মজুদ থাকার আশ্বাস স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।

অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন, করোনায় আক্রান্ত না এমন রোগীর জন্য দরকার নেই। তবে কে আক্রান্ত তা তো আগেই জানা যায় না, সেক্ষেত্রে আমরা সকলকেই পিপিই দিয়েছি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা মনে করি, বাংলাদেশে কোনো ধরনের পিপিইয়ের ঘাটতি হবে না। ডাক্তার-নার্সদের আমরা আশ্বস্থ করছি পিপিইর অভাবে কারো চিকিৎসা দেয়া ব্যাহত হবে না।

চলমান পরিস্থিতিতে অনেক চিকিৎসক পিপিই স্বল্পতার দাবি করলেও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, দেশে পর্যাপ্ত পিপিই মজুদ ও সরবরাহ করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মানার পাশাপাশি চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও জরুরি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here