বাংলা খবর ডেস্ক: দাফনের পর করোনা সংক্রমণে মৃতের দেহ থেকে ভাইরাস ছড়ায় না বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির দাফন প্রক্রিয়া যেভাবে সম্পন্ন হয়, তা থেকে কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই।
জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা আপনাদের ভাইকে সম্মানের সাথে শেষ কাজটা করতে সহায়তা করুন।’
এর আগে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় করোনায় সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির মানুষের দাফন নয়, ঢাকার বাইরে বা অন্য কোনও নিরাপদ স্থানে দাফনের দাবি জানিয়েছে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানের আশপাশের বাসিন্দারা। এ নিয়ে সেখানে টানানো হয়েছে ব্যানার। রোববার ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে একটি মরদেহ। অবশ্য বুধবার কয়েকজন এলাকাবাসীর সহায়তায় দাফন করা হয় একজনকে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিয়েই এসব মরদেহ আনা হচ্ছে এখানে।
সূত্র বলছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের দাফনের জন্য খিলগাঁও তালতলার এই কবরস্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। তবে কবরস্থানে যাওয়ার আগে তালতলা মার্কেটের সামনে চোখে পড়ে কিছু ব্যানার। ঢাকার বাইরে বা অন্য কোন নিরাপদ স্থানে দাফনের দাবিতে স্থানীয়দের পক্ষে এমন ব্যানার টানানো হয়েছে কবরস্থানের প্রধান ফটকে।
উল্লেখ্য, গত রোববার করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া একজনের মরদেহ দাফনের জন্য নিয়ে আসা হয় খিলগাঁও তালতলার কবরস্থানে। তবে স্থানীয়দের বাধায় মরদেহ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। পরে তাকে দাফন করা হয় মিরপুরের একটি কবরস্থানে।
স্থানীয়রা বলছেন, কবরস্থানটিতে সীমানাপ্রাচীর নেই। এছাড়া সীমানার মধ্যেই টিনের ঘর তুলে বসবাস করছে একাধিক পরিবার। ফলে এখানে করোনায় মৃতদের দাফন নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাটি চাপা দেয়ার পর করোনা ছড়ানোর সুযোগ নেই।
