বাংলা খবর ডেস্ক:
নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২৫ থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে করোনার ভ্যাকসিন আসার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এ সময়ের মধ্যে আসলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।
যারা ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় রয়েছেন তাদেরকেই ভ্যাকসিন আগে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলেও ঠিক কী পরিমাণ টিকা আসবে কিংবা এই টিকা কাদের- তা পরিষ্কার করেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিষয়টি পরে তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরিইউ) নজরুল হামিদ মিলনায়তনে নিয়মিত আয়োজন ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-এর সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমানসহ সংগঠনের অন্যান্যরা।
ওদিকে দেশে ১০ লাখ ডোজ টিকা দুই-একদিনের মধ্যে আসছে। করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবস্থাপনায় যুক্ত দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে আজ সোমবার (১৮ জানুয়ারি)সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা থেকে ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে এই টিকা উপহার হিসেবে দিচ্ছে।
দেশে করোনায় প্রাণ গেল আরো ১৬ জনের:
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ৯২২ জন। নতুন করে ৬৯৭ জন শনাক্তসহ দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩২৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ৭০৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৩৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৩ জন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে কয়েক ধাপ বাড়ানোর পর ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ছিল। সেই ছুটি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।