জয়-পরাজয় নয়, সুষ্ঠু নির্বাচনই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মুখ্য

0
55

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ও পরিষদের সদস্যরা।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ও পরিষদের সদস্যরা।
নির্বাচনে কে জয়লাভ করছে কিংবা পরাজিত হচ্ছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চিন্তা করে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েই চিন্তা করে। গতকাল মঙ্গলবার সম্পাদক পরিষদের মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। এ সময় তার দেশের নির্দিষ্ট কোনো দলের পক্ষ না নেওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

সংগঠনটির সভাপতি ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, আজকের পত্রিকা সম্পাদক গোলাম রহমান, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ ও ঢাকা ট্রিবিউন সহযোগী সম্পাদক আবু সাঈদ আসিফুল ইসলাম।

পিটার হাস আরো বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সব সংস্থাকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা প্রয়োজন। পাশাপাশি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় সম্পাদকরা রাষ্ট্রদূতকে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে অবগত করেন। এ প্রসঙ্গে বলা হয়, শুধু কঠোর আইন নয়, গণমাধ্যমের মালিকানাও চ্যালেঞ্জ।

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে নানা চাপ মোকাবিলা করছে। যুদ্ধের আগে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির যে অবস্থা ছিল, বর্তমানে সেই অবস্থা নেই কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে খারাপ হয়েছে। কিছু দেশ অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় বাংলাদেশের কৃষি খাতের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রেখে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, কীভাবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা যায় সেই আলোচনা প্রয়োজন। তিনি বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন-সংক্রান্ত কার্যক্রমে বিনিয়োগ করে থাকে। কিন্তু তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয় জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সের (জিএসপি) নীতিমালার আওতায়। যেখানে বাংলাদেশ প্রবেশাধিকার হারিয়েছে। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য যেখানে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তবে সামগ্রিক শ্রমঅধিকার পরিস্থিতি ঐসব সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here