মেয়ের দুষ্টুমির চিকিৎসা করাতে গিয়ে ভণ্ড কবিরাজের কাছে শিশুটির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভণ্ড কবিরাজের সাথে জড়িত থাকায় খাদেমসহ দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
কুমিল্লার সিন্দুরিয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী জামাল হোসেনের একমাত্র ছেলে ছিল শেখ ফরিদ। দুষ্টুমি কমাতে গেলো শুক্রবার তাকে বারপাড়া গ্রামে কবিরাজের আস্তানায় নিয়ে যান মা রোজিনা বেগম। চিকিৎসার জন্য ফরিদকে তিনদিন কাছে রাখতে চান কবিরাজ।
কবিরাজের পরামর্শে শিশুটিকে রেখে বাড়িতে ফিরে যান মা রোজিনা বেগম। প্রথমে ফোনে কবিরাজ শিশুটির সুস্থতার কথা জানালেও পরে রোজিনা বেগমকে জানানো হয় পানিতে ডুবে মারা গেছে ফরিদ।
কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ছালাম মিয়া জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভণ্ড কবিরাজের সহযোগী শাহাদাত হোসেন ও অ্যাম্বুলেন্স চালক জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর পলাতক ওই কবিরাজকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার ও স্থানীয়রা। শিশুর ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কুমিল্লায় ভণ্ড কবিরাজের কাছে থাকা একটি শিশুর মৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। তবে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে জিন হুজুর নামে পরিচিত ওই ভণ্ড কবিরাজ।