প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, বিকাল ৩ টার দিকে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভার্স্কয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ছাত্র সমাবেশ করতে থাকে আন্দোলনকারীরা। এ সময় সমাবেশ স্থলের চারপাশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ^বিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা মহড়া দিতে থাকেন। সমাবেশ থেকে তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিসমূহ ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর হামলাকারীদের বিচার, আটককৃতদের মুক্তি, ক্যাম্পাসের সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা। প্রায় ২ ঘণ্টা অবস্থানের পর আগামী ২৫ জুলাই দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়ে কর্মসূচি শেষ করা হয়। এরপর আন্দোলনকারীরা বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন দিক দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে থাকে। আন্দোলনকারীদের একটি অংশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দিয়ে চলে যেতে থাকলে তাদের ওপর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম দিদারে নেতৃত্বে একদল কর্মী হামলা চালায়। এতে নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এক পর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হলে হামলাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যান।

এদিকে কোটা আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক রাহুল সরকারসহ ২ জন সমাবেশ শেষে সিএনজি নিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগের সময় শাহবাগ এলাকায় তাদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছেন। এ সময় সোহরাব ও নিয়াজি নামের দুই আন্দোলনকারীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রাহুল সরকার বলেন, আমরা সিএনজি করে ফিরছিলাম। কাটাবন এলাকায় আমাদের সিএনজি অবরোধ করা হয় । এ সময় তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি পালিয়ে আসতে পারলেও অন্য দুইজনকে তুলে নিয়ে গেছে।

এর আগে ছাত্রসমাবেশে বক্তব্য দেন কোটা আন্দোলনের গ্রেফতার নেতা রাশেদ খানের মা। তিনি বলেন, আমার বাবারে মুক্তি দেন। আমার বাবার কোন খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না, সে কোন অন্যায় করেনি। সে একটি চাকরির জন্য এসেছিল। আপনারা তার আগের জীবন ফিরিয়ে দিন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আমার বাবা তার বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন করেনি।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন যাবৎ কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করে আসছি। আমরা চেয়েছিলাম সংস্কার কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দেয়। এরপর আমাদের জামাত শিবির বলে নানা ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই আমাদের ন্যায় দাবি মেনে নিয়ে হয়রানি বন্ধ করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here